ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ খবর দিয়েছে। তেহরানের এই তলব জারিকে কেন্দ্র করে ইউরোপীয় দেশ তিনটির সঙ্গে তাদের নতুন করে কূটনৈতিক উত্তেজনা ছড়ানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শহর আহভাজে ওই সামরিক কুচকাওয়াজে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৫ জন নিহত হন। যাদের মধ্যে সশস্ত্র বাহিনীর অভিজাত শাখা রেভল্যুশনারি গার্ডের আট কর্মকর্তা এবং এক সাংবাদিকও রয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত অর্ধশত লোক। সামরিক বাহিনীর পোশাক পরে নিকটস্থ একটি পার্ক থেকে কুচকাওয়াজ লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি ছোড়ে ওই বন্দুকধারীরা।
সরকারবিরোধী আরব জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠী ‘আহভাজ ন্যাশনাল রেসিস্ট্যান্স’ এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। এই ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ আখ্যা দিয়ে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাবেদ জারিফ বলেন, এই সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে ‘বিদেশি’ অর্থায়নে।
আঞ্চলিকভাবে সৌদি আরবের সঙ্গে ইরানের বছরের পর বছর ধরে বিরোধ চলে আসছে। ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধ ইস্যুতে এই বিরোধ রীতিমত স্নায়ুযুদ্ধে রূপ নিয়েছে। তাছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের ওই তিনটি দেশসহ পশ্চিমাদের সঙ্গেও ইরানের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাবেদ ‘বিদেশ’ বলতে সৌদি অথবা পশ্চিমা বিরোধীদেরই বুঝিয়েছেন বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
ব্রিটিশ, ডাচ ও ড্যানিশ রাষ্ট্রদূতকে তলবের পর ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাহরাম কাসেমী সংবাদমাধ্যকে বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না এই সংগঠনগুলো ইউরোপে হামলা চালায়, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তালিকাভুক্ত করা হয় না (সে অঞ্চলে)। এ বিষয়টি গ্রহণযোগ্য নয়।
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনীও এই হামলার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক মিত্রদের দোষারোপ করেন। আর পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাবেদ জারিফ সাফ বলে দেন, হামলায় মদতদাতা ‘মার্কিন গুরু’দেরও জবাবদিহির আওতায় আনা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৮
এইচএ/
** ইরানে সামরিক কুচকাওয়াজে হামলায় নিহত ২৪