স্থানীয় সময় বুধবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটার বেগে রাজ্যের উত্তর-পশ্চিমে প্যানহ্যান্ডেল অঞ্চলে আঘাত হানে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, মাইকেল’র আঘাতে বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের গভর্নর রিক স্কট বলেন, অনেক মানুষের জীবন চিরদিনের জন্য বদলে গেছে। অনেক পরিবারই তাদের সর্বস্ব হারিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনায় ৩ জন, জর্জিয়ায় ২, ফ্লোরিডায় ৪ এবং ভার্জিনিয়ায় ৫ জনের মৃত্যু খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এই হারিকেন মধ্য আমেরিকার হন্ডুরাসে ছয়জন, নিকারাগুয়ায় চারজন এবং এল সালভাদরে তিনজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।
গভর্নর স্কট বলেন, মার্কিন কোস্ট গার্ড রাতেই ১০টি মিশন শেষ করেছে। তারা অন্তত ২৭ জনকে উদ্ধার করেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাইকেল দেশটির সর্বকালের তৃতীয় শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। ১৯৬৯ সালে মিসিসিপি ও ১৯৩৫ সালে ফ্লোরিডায় আছড়ে পড়া ঝড়ের পর মাইকেলকেই দেশটিতে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বলা হচ্ছে।
ফ্লোরিডার তিন লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি লোককে ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদে আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও অনেকে এ সর্তকতা আমলে নিচ্ছেন না। তবে দুর্যোগ মোকাবিলায় মাঠে নেমেছে সংশ্লিষ্ট সব বাহিনী।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৮
এপি/আরআর