বুধবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে এক বিবৃতি দিয়ে তিনি পদত্যাগ করেন। যদিও দু’দিন আগেই অভিযোগকারী এক নারীকে আইনি নোটিশ দিয়েছিলেন সাংবাদিক থেকে রাজনীতিক হয়ে ওঠা এমজে আকবর।
বিবৃতিতে এমজে আকবর বলেন, ‘আমি আদালতে ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য নিজের সাধ্যমতো লড়াই করবো। আমার মনে হয়েছে ভুয়া অভিযোগের বিরুদ্ধে আদালতে লড়াইয়ের জন্য পদত্যাগ করাই যুক্তিযুক্ত। ’
ভারতে যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতা জানিয়ে প্রথম ‘মি-টু’ উচ্চারণ করেন অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত। তিনি নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, ২০০৮ সালে ‘হর্ন ওকে প্লিজ’ নামের একটি ছবির শুটিং সেটে তার শরীরে নোংরাভাবে হাত রেখেছিলেন পাটেকর। এরপর নিজের ‘কুইন’ সিনেমার নির্মাতা বিকাশ বেহেলের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তোলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌত।
এরপর ‘মি-টু’ উচ্চারণকারীদের মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে থাকে। অভিযুক্ত হন এমজে আকবর ছাড়াও অলোক নাথ, সাজিদ খান, কৈলাশ খের, রজত কাপুর, চেতন ভগত, সুভাষ ঘাইয়ের মতো ব্যক্তিত্বরাও।
এমজে আকবরের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ তোলেন তার অধীনে কাজ করা এক নারী সাংবাদিক। প্রিয়া রমণী নামে ওই সাংবাদিক বলেন, তিনি শুধু একা নন, একাধিক নারীর সঙ্গেই আপত্তিকর আচরণ করেছেন বিজেপি নেতা এমজে আকবর। এরপর আরও ১৯ জন আকবরের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তোলেন।
যদিও প্রথম থেকেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রমাণ ছাড়া এ ধরনের অভিযোগ কেবল ভাইরালই হবে, ভিত্তি পাবে না। তার খ্যাতির সুযোগ নিয়ে অভিযোগকারীরা আলোচনায় আসতে চাইছে বলেও মন্তব্য করেন আকবর। তার পদত্যাগের ঘোষণা পর্যন্ত অভিযোগের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেন বিজেপি বা তাদের নেতৃত্বাধীন সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৮
এইচএ/