প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের জন্য ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলে সৌদি আরবের কনস্যুলেটে যান সৌদি রাজতন্ত্রের কড়া সমালোচক খাশোগি। কিন্তু সেখানে ঢোকার পর থেকেই ‘নিখোঁজ’ হয়ে যান খাশোগি।
দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের বৈশ্বিক মতামত সম্পাদক কারেন আততিয়াহ লিখেছেন, খাশোগির এ কলামে নিখুঁতভাবে আরব বিশ্বের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতি তার প্রতিশ্রুতি উঠে এসেছে। তিনি আরও লিখেছেন, স্পষ্টত এজন্যই তিনি তার জীবন উৎসর্গ করলেন।
আততিয়াহ বলছেন, নিখোঁজের দিনই কলামটি জমা দেন খাশোগি। আমি আশা করেছিলাম তিনি আসবেন এবং আমরা দু’জন মিলে লেখাটি সম্পাদনা করবো। কিন্তু তা আর হয়ে উঠেনি।
ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের কঠোর সমালোচক স্বেচ্ছানির্বাসনে থাকা খাশোগি তার সর্বশেষ কলামে আরব বিশ্বের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে রাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা করেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, হয় জনগণকে জানানো হয় না অথবা ভুল তথ্য জানানো হয়।
তিনি লিখেছেন, আরব বিশ্ব চরম নিয়ন্ত্রণের শিকার হচ্ছে। বাইরের কেউ এসে এটা করছে না। রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ মানুষরাই ক্ষমতার টেক্কা দেওয়ার জন্য এমন করছে।
খাশোগি কলামে লিখেছেন, আরব বিশ্বে পুরনো গতিধারার গণমাধ্যমের বদলে আধুনিক ধারার গণমাধ্যম প্রয়োজন। যাতে নাগরিকরা বৈশ্বিক ঘটনা সম্পর্কে অবগত হতে পারেন। আরও গুরুত্বপূর্ণ হলো আরবের কণ্ঠস্বরের জন্য আমাদের প্লাটফর্ম তৈরি করা দরকার।
তার কলামে তিনি সৌদি লেখক সালেহ আল শেহির কথাও উল্লেখ করেন। এতে তিনি লিখেন, সৌদি রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে কথা বলায় কোনো রকম ওয়ারেন্ট ছাড়া সালেহ আল শেহিরকে পাঁচ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৮
এএইচ/টিএ