শুক্রবার (০২ নভেম্বর) সংবাদমাধ্যম জানায়, খাশোগি হত্যার এক সপ্তাহ পর হোয়াইট হাউসে ফোন করেছিলেন যুবরাজ সালমান। এসময় তিনি খাশোগিকে হত্যার বিষয়ে কোনো কিছু না বলে তাকে ‘বিপজ্জনক ইসলামপন্থী’ বলে মনে করেন তিনি- এমনটি জানান হোয়াইট হাউসকে।
যদিও মার্কিন দুই জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট এবং নিউইয়র্ক টাইমসের প্রকাশ করা এ তথ্যটি অস্বীকার করেছে সৌদি আরব।
ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাই জারেড কুশনার এবং দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোলটনকে ফোন করেছিলেন সালমান। ওই ফোনে তিনি খাশোগি সম্পর্কে একটি ব্যাখা দেন। আর সেটা হলো- খাশোগি না-কি মিশরের নিষিদ্ধ ঘোষণা করা ‘মুসলিম ব্রাদারহুড’ দলের সদস্য। তবে এসময় তিনি খাশোগির হত্যার বিষয়ে কোনো কিছু বলেননি।
ওই ফোনটি তিনি ৯ অক্টোবর অর্থাৎ খাশোগি হত্যার এক সপ্তাহ পর করেছিলেন বলেও জানা যায়।
এক মাস আগে ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে ব্যক্তিগত কাগজপত্র আনার প্রয়োজনে গেলে নিখোঁজ হয়ে যান সাংবাদিক খাশোগি। এ ঘটনার পর থেকে তুরস্ক দাবি করে আসছিল- সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরেই জামাল খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে।
প্রথম দিকে অস্বীকার করে নানা রকম কথা বললেও ঘটনার ১৭ দিন পর কনস্যুলেট ভবনের ভেতরে খাশোগি নিহত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে সৌদি। তবে তারা দাবি করে, কনস্যুলেটরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মারামারি করে নিহত হন এ সাংবাদিক।
এদিকে, তুরস্কের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর জানিয়েছিলেন, সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করা মাত্রই খাশোগিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এরপর তার মরদেহ টুকরো টুকরো করে ঘটনাটি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়।
তার মরদেহের একটি টুকরো কনস্যুলেটের ভেতরেই পাওয়া গিয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন তুরস্কের এক রাজনীতিবিদ। যদিও খাশোগির মরদেহের কোনো হদিস এখনও মেলেনি।
বাংলাদেম সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৮
টিএ