জাতিসংঘের মতে, তেল সমৃদ্ধ ভেনেজুয়েলা বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ মানবিক সংকটের মধ্যে সময় পার করছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটিতে এরই মধ্যে চরম দারিদ্র্যতা ৪০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।
ভেনেজুয়েলার ভেতরে এবং বাইরের অনেকেই দেশটিতে এমন দুর্দশার জন্য সমাজতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর নীতিকে দোষারোপ করছে।
তবে নিকোলাস মাদুরোর সমর্থকরা এ দুর্দশার জন্য বিভিন্ন সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নিষেধাজ্ঞাকে দায়ী করছেন।
মার্কিন একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভেনেজুয়েলার এক শিশু জানায়, আমরা রাস্তায় থাকছি। যেকোনো সময় যেকোনো কিছু হতে পারে আমাদের।
অন্য এক শিশু জানায় , আমি থাকার জন্য একটি রুম খুঁজছি। কারণ রাস্তায় থাকাটা খুব কষ্টের।
এমন অসংখ্য শিশু আছে, যাদের বাবা-মা নিজ সন্তানের খরচ বহন করতে না পেরে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে।
মারিনা নামে এক শিশু বলে, আজ আমরা অনেক ক্ষুধার্ত। ঠিক মতো খেতে পারিনি। ঠিক না মা ?
৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সকাল থেকে সারাদিন রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষা করেন মারিনা আর তার মা।
মারিনার মা বলেন, সাধারণত সবাই বলে, সাহায্য করতে পারবে না। মাঝে মাঝে আবার কেউ কেউ সাহায্য করে।
মারিয়া ছদ্মনামে একজন বলেন, আমি ছয় মাসের গর্ভবতী। এখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, জন্মের পর আমার সন্তানকে দত্তক দিয়ে দেবো। মারিয়ার আরও পাঁচটি সন্তান আছে। যাদের মধ্যে তিনটির দেখভাল করে অন্য পরিবার।
তিনি আরও বলেন, আমি আমার সন্তানদের বলেছিলাম, আমি তাদের ছেড়ে থাকতে চাই না। তবে তাদের খরচও আমি বহন করতে পারছি না। নিশ্চিয় কোনো একদিন আমি সন্তানদের আমার কাছে ফিরিয়ে আনবো।
সম্প্রতি ভেনেজুয়েলায় মুদ্রাস্ফীতির কারণে এক প্যাকেট চালের দাম পঁচিশ লাখ বলিভারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশটিতে বস্তা ভর্তি নোট নিয়ে বাজারে যাচ্ছেন মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৮
এপি/টিএ