জাসিন্ডার প্রধান প্রেস সচিব অ্যান্ড্রো ক্যাম্পবেলের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো এমন তথ্য জানিয়েছে।
তিনি গণমাধ্যমকে জানান, জাতিগত বিভেদের বার্তাসহ ইমেইলটি দফতরের একজনের কর্মকর্তার ইমেইল ঠিকানায় পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু তাৎক্ষণিক বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হয়নি।
৪৯ জন নিহত এবং অনেকেই আহত হওয়া এ হামলার ৮৭ পৃষ্ঠার মেনিফেস্টো প্রায় একই সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও পোস্ট করা হয়েছিল। যেখানে অভিবাসী এবং মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রয়েছে।
শনিবার (১৬ মার্চ) স্থানীয় সময় সকালে হামলার সন্দেহভাজন মূলহোতা অস্ট্রেলিয়ান বংশোদ্ভূত ব্রেন্টন ট্যারেন্টের (২৮) বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন লঙ্ঘনসহ আরও বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনা হবে বলে ধারণা করছেন আইন প্রণেতারা।
আদালতে হাজির করা হলে আসামির পক্ষ থেকে কোনো জামিনের আবেদন পড়েনি। এছাড়া মামলার শুনানির জন্য আগামী ০৫ এপ্রিল তাকে আবারও হাজির করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডার্ন বলেছেন, ব্রেন্টন ট্যারেন্টের কাছে ২০১৭ সালে নেওয়া 'ক্যাটাগরি এ' শ্রেণির একটি লাইসেন্স রয়েছে। এছাড়া ক্রাইস্টচার্চ হামলায় তিনি পাঁচটি অস্ত্র ব্যবহার করেছেন। এসময় তিনি এও বলেন, আমাদের অস্ত্র আইনে পরিবর্তন আনা হবে।
এর আগে অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, ব্রেন্টনকে অস্ট্রেলিয়ায় হাজতবাস করতে হয়েছিল। তিনি মৌলবাদী, ডানপন্থি ও সহিংস সন্ত্রাসী। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন আটক আরও দুইজনকে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি রেকর্ড ছিল না।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে ক্রাইস্টচার্চের দুই মসজিদে বর্বরোচিত হামলায় আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদের মধ্যে দুই এবং ১৩ বছর বয়সী দু’টি শিশুও রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৯
পিএম/এসআইএস