দেশটির সরকারের সূত্র স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে জানিয়েছে, অনুষ্ঠানটিতে হুরিয়াতের নেতাদের আমন্ত্রণ করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের এ কাজের মাধ্যমেই বোঝা যায় তারা ফের ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে।
ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মুহম্মদের হামলার জের এখনও কাটেনি। এরইমধ্যে পাকিস্তানের আয়োজিত অনুষ্ঠান বর্জন করলো ভারত। দু’দেশের মধ্যে চলমান এ উত্তেজনার জেরে তাদের মধ্যকার কূটনীতিক সম্পর্কও দুর্বল হয়ে গেছে।
তবে এ বছরের অনুষ্ঠানটিতে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কেউই অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলে নিশ্চিত করেছেন তাদেরেই শীর্ষস্থানীয় এক নেতা।
তিনি বলেন, বর্তমানে যে পরিবেশ আছে, এতে অনুষ্ঠানটিতে আমাদের কেউই যেতে পারবে না।
গত মাসে সরকারের নেওয়া কঠোর নীতিমালা এবং অভিযানের পর থেকেই জেলে রয়েছে কিংবা বাড়িতে আটকে আছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। যাদের আটক করা হয়নি তারাও যেকোনো মুহূর্তে আটক হতে পারে এমন ভয়ে আছে।
অতীতেও কাশ্মীরসহ বিভিন্ন ইস্যুতে পাকিস্তানকে সরাসরি আলোচনায় উদ্বুদ্ধ করে এসেছে ভারত। সেসঙ্গে হুরিয়াত নেতাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগে তাদের নিরুৎসাহিত করেছে ভারত।
সরকারের সাবেক সিনিয়র এক কর্মকর্তা বলেন, কিছু নির্দিষ্ট রীতিনীতি রয়েছে, যেগুলো প্রতিটি জাতিই অনুসরণ করে থাকে।
তিনি বলেন, একটি দেশের জাতীয় দিবসে অংশগ্রহণ করা মানে হচ্ছে, সে জাতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা। সেখানে অংশগ্রহণ না করে তাদের বোঝানো হবে যে, আমরা তাদের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিচ্ছি।
তবে সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে আগামী মাসের জাতীয় নির্বাচনের কৌশল হিসেবেই দেখছে সমালোচকরা।
লাহোর রেজুলেশনের স্মরণে প্রতিবছরের ২৩ মার্চ এ দিবসটি পালন করে থাকে পাকিস্তান। অতীতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভিকে সিং ও গাজেন্দ্র সিং এবং সাবেক মন্ত্রী এমজে আকবরসহ আরও বহু রাজনীতিবিদ পাকিস্তানের জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৯
এসএ/টিএ