পূর্বাঞ্চলের শহর বাঘোজের ওই ঘাঁটি থেকে আইএসকে বিতাড়িত করার পর শনিবার (২৩ মার্চ) এই ঘোষণা দিয়েছে এসডিএফ। ইরাক সীমান্তের কাছের বাঘোজকে আইএস-মুক্ত করতে কয়েক সপ্তাহ ধরেই লড়াই চালিয়ে আসছিল বাহিনীটি।
এক টুইটার বার্তায় এসডিএফের মুখপাত্র মুস্তফা বালি বলেন, বাঘোজকে মুক্ত করা হয়েছে। আইএস এর বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনীর বিজয় সম্পন্ন হয়েছে।
তবে বাঘোজে আইএসের যে ‘ছিটে-ফোঁটা রয়েছে’, তাদেরও নিশ্চিহ্ন করতে এসডিএফ তাদের লড়াই চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সংবাদমাধ্যম বলছে, এসডিএফ এমন ঘোষণা দিলেও আইএসের কিছু যোদ্ধা বর্তমানে সিরিয়ার দূরবর্তী মরুভূমি এলাকা এবং ইরাকের বিভিন্ন শহরে অবস্থান করছে। সেখানে তারা মাঝেমধ্যে গুলি ছুড়ে আতঙ্ক ছড়ায় এবং অপহরণের মত কাজ করে থাকে।
মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ‘আরব বসন্ত’র ঢেউ উঠলে ইরাক ও সিরিয়ার বিশাল এলাকা দখল করে ২০১৪ সালে ‘খেলাফত’ ঘোষণা করেন আইএসের নেতা আবু বকর আল-বাগদাদি। আইএস তাদের অস্তিত্ব জানান দিতে ওই এলাকায় নৃশংসতার পাশাপাশি বাইরেও বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড চালাতে থাকে। তাদের দমাতে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পক্ষ নিয়ে লড়াইয়ে নামে রাশিয়া। আর বাশারের পতনে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করা এসডিএফের পক্ষ নিয়ে ময়দানে নামে যুক্তরাষ্ট্র।
সিরিয়ার ময়দানে একদিকে আইএস-বিরোধী উভয়পক্ষের লড়াই, অন্যদিকে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এসডিএফসহ অন্যান্য বিদ্রোহীরা যুদ্ধ চালিয়ে এলেও শেষতক বাশারের পালেই হাওয়া বইছে বলে জানাচ্ছে সংবাদমাধ্যম।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৯
এসএ/এইচএ/