শনিবার (২৩ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছে মোজাম্বিক সরকার।
মোজাম্বিকের বন্দর শহর বেইরা থেকে শুরু হওয়া ঘূর্ণিঝড়ে বাতাসের বেগ ছিল ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার।
মোজাম্বিকের ভূমি ও পরিবেশ মন্ত্রী সেলসো কোরিয়া বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়ে মোজাম্বিকে প্রাণহানি বেড়ে ২৪২ থেকে ৪৪৬-তে দাঁড়িয়েছে।
সাংবাদিকদের কোয়েরা বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি আগের থেকে অনেকটাই ভালো। যদিও এখনও সংকটপূর্ণ অবস্থা কাটেনি। তবে আগের তুলনায় পরিস্থিতি এখন অনেকটাই ভালো।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘ইদাই’ এবং ভারী বর্ষণে জিম্বাবুয়েতে ২৫৯ জন এবং মালাওয়িতে প্রায় ৫৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ তিনটি দেশেই যারা বেঁচে আছেন তারা আটকে থাকা লোকদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
দেশগুলোর মানুষ এখন খাদ্য, বাসস্থান এবং পানির ব্যাপক সংকটে রয়েছেন। তবে দেশগুলোর সরকার এবং বিভিন্ন সহায়তা সংস্থা তাদের সাহায্যে কাজ করছে।
সেলসো কোরিয়া বলেছেন, দেশটিতে বিভিন্ন বাড়িঘরের ছাদে এবং গাছে আটকে থাকা প্রায় এক হাজার ৫০০ জন মানুষ তাৎক্ষণিক উদ্ধারের অপেক্ষায় ছিলো। হেলিকপ্টার এবং নৌকার মাধ্যমে তাদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তবে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা।
চলমান এ দুর্যোগে কিছু স্থানে মানুষ কলেরা রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে।
আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া দেশগুলোর চলমান সংকট মোকাবেলায় দেশটির জন্য ২০ মিলিয়্ন ডলার সহায়তা বরাদ্দ করেছে জাতিসংঘ। পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ব্রিটেনও সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৯
এসএ/এমজেএফ