মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম বিষয়টি নিশ্চিত করে। তবে কবে নাগাদ এ বৈঠক হবে, তা জানানো হয়নি।
এছাড়া আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তর কোরিয়া ঘোষণাও করেনি বৈঠকটির নির্দিষ্ট তারিখ। তবে এ নিয়ে ক্রেমলিন জানিয়েছে, ভ্লাদিমির পুতিন এবং কিম জং উন চলতি মাসেই মিলিত হবেন। এপ্রিলের দ্বিতীয়ার্ধে একটি তারিখে বৈঠকটি হতে পারে বলে উল্লেখ করেছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভবন।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, গেলো ফেব্রুয়ারিতে ভিয়েতনামে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কিম জং উনের যে বৈঠক হয়েছিল, সেটি তেমন ফলপ্রসূ হয়নি। এ বৈঠকের পর পুরানো যেকোনো মিত্রপক্ষের সঙ্গে মিলিত হওয়া উত্তর কোরিয়ার জন্য খুবই উপযুক্ত সময়।
রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় ভ্লাদিভস্টক শহরে এ দুই নেতার বৈঠক হতে পারে বলে সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। এছাড়া ওই বৈঠকে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা এবং কয়েকটি সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও জানা গেছে।
উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতিতে মস্কোর প্রভাব কেমন, এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, এক সময় সোভিয়েত ইউনিয়ন উত্তর কোরিয়ার প্রধান সহযোগী ছিল। অর্থনৈতিক সহায়তা, সাংস্কৃতিক বিষয়াবলী বিনিময়সহ বিভিন্ন সহায়তা দিয়ে উত্তর কোরিয়ার পাশে ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন। একইসঙ্গে উত্তর কোরিয়াকে তার প্রাথমিক পারমাণবিক ধারণাও দিয়েছিল ভেঙে রাশিয়া হওয়া রাষ্ট্রটি।
এর আগে ২৭ এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে দুইদিনের বৈঠকে বসেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কিম জং উন। কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের আলোচনার উদ্দেশে ওই বৈঠক হলেও এখনও কোনো চুক্তি হয়নি তাদের মধ্যে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৯
টিএ