বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাশিয়ার একেবারে পূর্বাঞ্চলের শহর প্রশান্ত মহাসাগর উপকূলের ভ্লাদিভস্তকে এ বৈঠকে বসেন দুই নেতা।
উত্তর কোরিয়ার উত্তর সীমানা পেরিয়ে ওই শহরে একদিন আগেই ব্যক্তিগত সাঁজোয়া ট্রেনে পৌঁছান কিম জং উন।
গত ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর এটাই হতে দ্বিতীয় কোনো রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে কিমের প্রথম আলোচনা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, হ্যানয় সম্মেলনে কিম-ট্রাম্পের ওই বৈঠক কোনো প্রকার সমঝোতা ছাড়াই শেষ হয়েছিল। তাই রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে এশিয়া অঞ্চলে নিজেদের প্রভাব তৈরি করতে চায় উত্তর কোরিয়া।
পিয়ংইয়ংয়ের ওপর পারমাণবিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে রাশিয়ার সমর্থনের পাশাপাশি বৃহস্পতিবারের বৈঠকে আরও দু’টি বিষয় উঠে আসতে পারে। রাশিয়ায় কর্মরত উত্তর কোরিয়ান শ্রমিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও আসন্ন খাদ্য সংকট নিয়ে আলোচনাও হতে পারে কিমের।
পুতিনের সঙ্গে এ বৈঠক সফল ও কার্যকর হবে বলেও আশা করেছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা।
রাশিয়ায় প্রায় ১০ হাজার উত্তর কোরিয়ান শ্রমিক কাজ করছেন। কিন্তু ২০১৭ সালে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাব কার্যকর হওয়ায় এ বছরের শেষে তাদের স্বদেশে ফিরে যেতে হবে।
এছাড়া, নিষেধাজ্ঞার কারণে এবারের গ্রীষ্মে বড় ধরনের খাদ্য সংকটে পড়তে পারে উত্তর কোরিয়া। ইতোমধ্যে এ দুর্যোগ এড়াতে মানিবক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। গত মাসেই তারা উত্তর কোরিয়ার চংজিন বন্দর দিয়ে ২ হাজার টন গম সরবরাহের কথা জানিয়েছে।
এ বৈঠকে মূল দাবি-দাওয়াগুলো উত্তর কোরিয়ার হলেও তা রাশিয়ার জন্যও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। এই অঞ্চলে মার্কিন প্রভাব কমিয়ে রুশ আধিপত্য বিস্তারে আজকের বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৯
একে/এইচএ/