কেভিন ম্যালোরি (৬২) নামের ওই ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের লিজবার্গের বাসিন্দা। তিনি সিআইএ ও ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সিতে (ডিআইএস) গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সরকারী আইনজীবীরা জানান, ২০১২ সালে অবসর নিয়ে পরমর্শক হিসেবে ব্যবসা শুরু করেন কেভিন। কিন্তু পাঁচ বছর পর ব্যবসায় ধস নামলে তার ৯ লাখ ডলারের বাড়ি হাতছাড়া হওয়ার উপক্রম হয়। এ অবস্থায় ২০১৭ সালে ফেব্রুয়ারিতে সাংহাই অ্যাকাডেমি অব সোশ্যাল সায়েন্সের পক্ষ থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। মার্কিন গোয়েন্দাদের ধারণা, এ প্রতিষ্ঠানটিকে চীনা গোয়েন্দা কার্যক্রমের ছদ্মবেশ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
কেভিন এরপর দু’বার চীন ভ্রমণ করেন। সেখান থেকে তাকে বিশেষায়িত মোবাইল ফোন দেওয়া হয়, যার মাধ্যমে তিনি গোপন তথ্য ও ছবি পাচার করতেন। এ কাজের বিনিময়ে চীনের কাছ থেকে তিনি ২৫ হাজার ডলার নিয়েছেন।
২০১৭ সালের জুনে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গত জুনে দুই সপ্তাহব্যাপী শুনানিতে তার বিরুদ্ধে গুপ্তরচরবৃত্তির বেশ কয়েকটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়।
শুনানিতে উপস্থাপিত সিসি ক্যামেরার ভিডিওতে দেখা যায়, কেভিন একটি পোস্ট অফিসে গোপন নথিপত্র স্ক্যান করে মেমোরি কার্ডে রাখছেন।
মার্কিন অ্যাটোর্নি জাকারি টারউইলিজার এক বিবৃতিতে বলেন, কেভিন ম্যালোরি শুধু দেশকেই ঝুঁকিতে ফেলেননি, তিনি জাতীয় নিরাপত্তায় নিযুক্তদের জীবনও বিপন্ন করেছেন।
‘যারা জনগণের বিশ্বাস ও দেশের নিরাপত্তা নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে চায়, এ রায় তাদের কড়া বার্তা দেবে। ’
সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জন ডেমারস বলেন, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক কর্মকর্তারা যে চীনের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছেন, এ ঘটনা তারই প্রমাণ।
চলতি মাসেই, সিআইএর সাবেক এজেন্ট জেরি চুন শিং লি চীনের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন।
এর আগে, গত জুনে সাবেক মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা রন রকওয়েল হানেসেনেরও বিরুদ্ধেও চীনের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির প্রমাণ পাওয়া যায়। এ কাজ করে তিনি অন্তত ৮ লাখ ডলার কামিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৯
একে