পুলিশ জানায়, দিন দশেক আগে দক্ষিণ সাইবেরিয়ার টুভা অঞ্চলের জঙ্গলে দুই বন্ধুর সঙ্গে হরিণের শিং সংগ্রহে গিয়েছিলেন নিকোলাই ইরজিত (৩০) নামে এক ব্যক্তি। সংরক্ষিত বনাঞ্চলে যাওয়া শুধু ঝুঁকিপূর্ণই নয়, বেআইনিও বটে।
হরিণের শিং ওষুধ, আসবাবপত্র তৈরিসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। এ কারণে কালোবাজারে এর দাম বেশ চড়া।
‘শিং অভিযান’ শুরুতে পরিকল্পনা মোতাবেক চলছিল। গন্তব্যে পৌঁছে তারা ক্যাম্প স্থাপন করেন। আগুন জ্বেলে রান্নাবান্না, খাওয়া-দাওয়া শেষে কাজে বেরিয়ে পড়েন সবাই। হরিণের খোঁজে ইরজিত একা একা জঙ্গলের অনেক ভেতরে চলে যান। হঠাৎ বিশালাকার এক বাদামি ভাল্লুক তার পথ আগলে দাঁড়ায়।
৬০০ কেজি পর্যন্ত ওজনের সাইবেরিয়ান ভাল্লুক বেশ হিংস্র ও শক্তিশালী। তারা মানবদেহ সহজেই ছিন্নভিন্ন করে ফেলতে সক্ষম। তাদের কাছ থেকে দৌঁড়ে পালানোরও উপায় নেই।
এ অবস্থায় চিৎকার করে ভাল্লুকটিকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেন নিরস্ত্র ইরজিত। কিন্তু, এতে হিতে বিপরীত ঘটে। না পালিয়ে উল্টো তাকে আক্রমণ করে বসে প্রাণিটি। সে ইরজিতের মুখ, হাত, পেটে অনবরত কামড় দিতে থাকে। ক্ষত-বিক্ষত হলেও হাল ছাড়েননি তিনি। ভাল্লুকটি তার মুখ কাছে আনতেই এর জিহ্বা কামড়ে ধরেন ইরজিত। এতে ভয় পেয়ে যায় দানবাকৃতির জন্তুটি। এবার সে শিকার ছেড়ে ছুটে পালায়।
গুরুতর আহত অবস্থায় নড়াচড়ার শক্তি ছিল না নিকোলাই ইরজিতের। সেখানে বসেই তিনি সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে থাকেন। পরে, বন্ধুরা এসে তাকে উদ্ধার করেন ও অ্যাম্বুলেন্স ডাকেন।
গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, হাসপাতালের বেডে শোয়া ইরজিতের মাথায় ব্যান্ডেজ লাগানো। তার মুখ-হাতে অসংখ্য আঁচড়ের চিহ্ন রয়েছে।
তবে, ভাল্লুকের হাত থেকে বাঁচলেও আইনের হাত থেকে বাঁচতে পারছেন না এ ‘ভাগ্যবান পুরুষ’। সংরক্ষিত বনে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও কার্যকলাপের কারণে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৯
একে