সোমবার (১০ জুন) এক প্রতিবেদনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, কিমের ভাইয়ের সঙ্গে সিআইএর যোগসূত্র ছিল। তবে তাদের সম্পর্ক নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, একাধিক সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, কিম জং নাম দীর্ঘদিন উত্তর কোরিয়ার বাইরে থাকায় পিয়ংইয়ংয়ে তার তেমন কোনো প্রভাব ছিল না। দেশটির গোপন কার্যকলাপের বিষয়ে তথ্য দেওয়ার সক্ষমতাও তার থাকার কথা নয়।
‘সাবেক কর্মকর্তারা আরও বলেন, কিম জং নামের সঙ্গে অন্য দেশ, বিশেষ করে চীনের নিরাপত্তা বাহিনীর যোগাযোগ ছিল। ’
তবে, এ তথ্য সম্পর্কে নিশ্চিত নয় বার্তা সংস্থা রয়টার্স। আর সিআইএ বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেছে।
২০১৭ সালে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে কিম জং নামকে বিষপ্রয়োগে হত্যা করা হয়। তার মুখে তরল ভিএক্স নামে এক ধরনের নিষিদ্ধ ক্ষতিকর রাসায়নিক মাখিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার দুই নারীকে আটক করা হয়। চলতি বছরের মার্চ মাসে তাদের মুক্তি দেয় মালয়েশিয়া।
দক্ষিণ কোরিয়া ও মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবি, উত্তর কোরিয়ার প্রশাসনই কিম জং নামকে হত্যার আদেশ দিয়েছে। তবে পিয়ংইয়ং বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের তথ্যমতে, ২০১৭ সালে সিআইএ প্রতিনিধির সঙ্গে দেখা করতে মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন কিমের ভাই। যদিও সেখানে যাওয়ার এটাই একমাত্র কারণ না-ও হতে পারে।
গত এক বছরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন দু’বার সাক্ষাৎ করেছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে ভিয়েতনামে ও ২০১৮ সালের জুনে সিঙ্গাপুরে বৈঠক করেন তারা। ব্যক্তিগত সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি বাতিলের বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য। যদিও, দু’বারই সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৯
একে