চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হাইপোগ্লাইসিমিয়ার (ব্লাড সুগার খুবই নিচে নেমে যাওয়া) কারণে বেশিরভাগ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রয়োজন, তবে ৯০ শতাংশ শিশু মৃত্যুর কারণ হিসেবে হাইপোগ্লাইসিমিয়ার কথা জানিয়েছেন বিহারের শ্রী কৃষ্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট ড. এসকে শাহী।
জেলার বেশিরভাগ সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল শিশু রোগীতে পূর্ণ, যার অধিকাংশই প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আসা।
গ্রীষ্ম মৌসুমে মুজাফফারপুর ও তার আশপাশের এলাকা থেকে প্রতি বছরই এ রোগে বহু সংখ্যক শিশু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। যাদের অধিকাংশের বয়স ১৫ বছরের নিচে।
এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী নিতিশ কুমার বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে তথ্য ঘাটতি ও লোকজনের মধ্যে এ রোগ প্রতিরোধ সম্পর্কে সচেতনতার অভাব রয়েছে। গত দুই বছরে এ রোগে শিশু মৃত্যুর হার কমলেও এ বছর হঠাৎ-ই তা আবার বৃদ্ধি পেয়েছে। সচেতনতা কার্যক্রম যথাযথভাবে পরিচালিত হচ্ছে না বলেও তিনি মনে করেন।
মুখ্যমন্ত্রী অভিভাবকদের তাদের সন্তানের প্রতি আরো যত্নবান হওয়ার পাশাপাশি শিশুরা যেন রাতে খালি পেটে না ঘুমিয়ে পড়ে সে বিষয়ে সজাগ থাকার জন্য বলেন।
এর আগে গত শনিবার (০৮ জুন) এ রোগে ১৪ শিশু মৃত্যুর খবর জানায় ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো।
বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৯
জেডএস