বাহরাইনভিত্তিক মার্কিন ৫ম ফ্লিটের মুখপাত্র জশ ফ্রে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ভোর ৬টা ১২ মিনিটে একটি ও সকাল ৭টায় আরেকটি বিপদসঙ্কেত পায়। সাহায্যের জন্য তারা দ্রুত ইউএসএস ব্রেইনব্রিজ নামে একটি যুদ্ধজাহাজ পাঠায়।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, কোকুয়া কারেজিয়াসে ২১ জন ও ফ্রন্ট অলটেয়ারে ২৩ জন ক্রু ছিলেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাত উপকূলে চারটি তেলবাহী জাহাজে বিস্ফোরণের এক মাস পরই ঘটলো এ ঘটনা। বিস্ফোরণের সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো জানা যায়নি।
তবে, নরওয়ের মালিকানাধীন ফ্রন্ট অলটেয়ারে হামলা হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির নৌ কর্তৃপক্ষ। এদিন সকালে জাহাজটিতে তিনটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
ফ্রন্ট অলটেয়ার ভাড়া করা তাইওয়ানের তেল পরিশোধন কোম্পানি সিপিসি কর্পের মুখপাত্র উ আই-ফাং বলেন, জাহাজটি ৭৫ হাজার টন ন্যাপথা বহন করছিল। এতে টর্পেডো আঘাত হেনেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যদিও টর্পেডো হামলার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। অন্য সূত্রের খবরে বলা হচ্ছে, জাহাজটিতে মাইন হামলাও হতে পারে।
পানামার পতাকাবাহী জাহাজ কোকুয়া কারেজিয়াসের পরিচালনা প্রতিষ্ঠান বিএসএম শিপ ম্যানেজমেন্ট জানিয়েছে, জাহাজটি মিথানল বহন করছিল। বিস্ফোরণের পর এর ক্রুদের নিকটবর্তী একটি জাহাজ উদ্ধার করেছে।
কোকুয়া কারেজিয়াস বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৮০ মাইল ও ইরান থেকে ১৬ মাইল দূরে অবস্থান করছে। জাহাজটি ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির এক মুখপাত্র।
ইরানি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজের ক্রুদের উদ্ধার করে জাস্ক বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জাহাজে বিস্ফোরণের ঘটনা এমন সময় ঘটলো, যখন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিন জো আবে ইরান সফরে রয়েছেন।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাহাজ দু’টি জাপানের জন্য পণ্য নিয়ে যাচ্ছিল।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ বিস্ফোরণের এ ঘটনাকে সন্দেহজনক বলে মন্তব্য করেছেন।
এদিকে, একের পর এক বিস্ফোরণের ঘটনায় ওই এলাকায় ‘চরম সতর্কতা’ জারি করেছে ব্রিটিশ সংস্থা যুক্তরাজ্য ম্যারিটাইম ট্রেড অপারেশন (ইউকেএমটিও)।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৯
একে