বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিসকেকে ভারত-চীন দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকের সময় জিন পিংকে মোদী এ কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিজয় গোখলে।
তিনি জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পাকিস্তানকে আগে সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
চীন পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের কৌশলগত সহযোগী বলে পরিচিত। দেশটির অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করছে চীনারা। এসসিও সম্মেলনে যোগ দেওয়া পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গেও রয়েছে চীনা প্রধানমন্ত্রীর দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক হওয়ারও কথা রয়েছে।
বিসকেক সম্মেলনকে ঘিরে দ্বি-পাক্ষিক আলোচনার জন্য ভারতের কাছে পৃথক চিঠি পাঠিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদীর কাছে চিঠিতে কাশ্মীর ইস্যুসহ অমীমাংসিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চান ইমরান খান।
আশা করা হচ্ছিল, বিসকেক সম্মেলনে প্রথমবারের মতো বৈঠকে বসবেন মোদী-ইমরান। তবে, আপাতত সে ধরনের কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে ভারত।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় ৪০ সিআরপিএফ সদস্য নিহত হওয়ার পর থেকে পাকিস্তানের ওপর চাপ বাড়িয়েছে ভারত। এর সূত্র ধরে, পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিনেতা মাসুদ আজহারকে বিশ্বসন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভুক্ত করার ক্ষেত্রে জাতিসংঘের প্রস্তাবের ওপর আপত্তি তুলে নেয় মিত্র দেশ চীন।
এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে নরেন্দ্র মোদী বিসকেক যাওয়ার জন্য ভারত প্রথমে পাকিস্তানকে তাদের আকাশপথ খুলে দেওয়ার অনুরোধ জানায়। এতে সম্মতিও দিয়েছিল দেশটি। তবে, বুধবার (১২ জুন) ভারত জানায়, তারা পাকিস্তানের আকাশপথ ব্যবহার করবে না। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ভিন্ন রুট ব্যবহার করে কিরগিজস্তান যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
ফেব্রুয়ারিতে বালাকোটে বিমান হামলার পর থেকেই ওই অঞ্চলের আকাশপথ বন্ধ রেখেছে পাকিস্তান।
বাংলাদে সময়: ১০০২ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৯
একে