সৌদি টেলিভিশন চ্যানেল আল-আরাবিয়ার তথ্যমতে, জর্ডান থেকে পাস করে ইয়াসমিন যুক্তরাষ্ট্রে যান প্রশিক্ষণের জন্য। সেখানে ৩০০ ঘণ্টা প্লেন ওড়ানোর অভিজ্ঞতা পূরণ করে লাইসেন্স অর্জন করেন তিনি।
২০১৩ সালে সৌদি আরব থেকেও অ্যাভিয়েশন লাইসেন্স লাভ করেন ইয়াসমিন। এরপর, বাণিজ্যিক প্লেনের পাইলট হতে তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে দীর্ঘ ছয়টি বছর।
অবশেষে, সৌদি-মিসর রুটে চলাচলকারী নেসমা এয়ারলাইন্সের ফার্স্ট অফিসার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি।
বাণিজ্যিক প্লেনের প্রথম নারী পাইলট হলেও, ইয়াসমিনের আগে কিন্তু সৌদির আরবের এক নারী পাইলট হয়েছেন। তার নাম হানাদি আল-হিন্দি। ১৯৭৮ সালে জন্ম নেওয়া এ নারী ২০০৫ সালে জর্ডানের মিডল ইস্ট অ্যাকাডেমি ফর কমার্শিয়াল অ্যাভিয়েশন থেকে পাস করেন। ২০১৪ সালে তিনি সৌদির অ্যাভিয়েশন লাইসেন্স পান। তবে, বাণিজ্যিক প্লেনের পাইলট হওয়া হয়নি তার। সৌদি যুবরাজ আল ওয়ালিদ বিন তালালের ব্যক্তিগত প্লেনের পাইলট হিসেবে হানাদির ১০ বছরের চুক্তি রয়েছে।
কট্টরপন্থী ইসলামিক দেশ হিসেবে পরিচিত সৌদি আরব গত কয়েক বছর ধরেই উদারপন্থী হিসেবে আত্মপ্রকাশের চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে দেশটির নারীরা স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখা, গাড়ি চালানোর অনুমতি পেয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৯
একে