বৃহস্পতিবার (২০ জুন) এ তথ্য জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
এর আগে, পারস্য ও ওমান উপসাগর উপকূলের হরমোজগান প্রদেশে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে বলে বিবৃতি দিয়েছিল ইরানের সামরিক বাহিনীর অভিজাত ও প্রভাবশালী শাখা রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)।
আইআরজিসির জনসংযোগ শাখার বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ইরানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে মূল ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের সময় ‘আমেরিকান গুপ্তচর ড্রোন’ ভূপাতিত করা হয়েছে। হরমোজগান প্রদেশের কুহ মুবারক এলাকা দিয়ে ওড়ার সময় ভূপাতিত ড্রোনটি ছিল আরকিউ-৪ গ্লোবাল হক মডেলের।
যদিও যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ড্রোনটি ইরানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেনি, এটি আন্তর্জাতিক জলসীমার ওপর দিয়ে ওড়ার সময় ভূপাতিত করা হয়েছে।
আইআরজিসি কমান্ডার ইন চিফ মেজর জেনারেল হোসাইন সালামি বলেন, এটা স্পষ্ট যে, ইরানের সীমান্ত হচ্ছে আমেরিকার জন্য ‘রেড লাইন’।
সম্প্রতি ওমান উপসাগরে তেলবাহী একাধিক জাহাজে হামলার ঘটনায় ইরানের সঙ্গে বাগযুদ্ধে জড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মধ্যপ্রাচ্যের মিত্র দেশগুলো। ইরানকে অভিযুক্ত করে বিভিন্ন ‘তথ্য-প্রমাণ’ উপস্থাপন করে চলেছে ট্রাম্প প্রশাসন। যদিও, সব অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছে তেহরান।
এ উত্তেজনার মধ্যে পেন্টাগন মধ্যপ্রাচ্যে আরও এক হাজার সৈন্য মোতায়েনের ঘোষণা দেওয়ার পর, গোয়েন্দা ড্রোন ভূপাতিত করার ঘটনা ঘটলো।
তবে, মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করার বিষয়টি নাকচ করে মার্কিন নৌবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের মুখপাত্র বিল আরবান বলেন, ওই দিন ইরানের আকাশে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ড্রোন অপারেশনে যায়নি।
হোয়াইট হাউসে বারাক ওবামা থাকাকালে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সীমিতকরণের প্রশ্নে তেহরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি সই করে পাওয়ার সিক্স (যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি)। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় বসার পর একতরফাভাবে এ চুক্তি থেকে বের হয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। যদিও, ইউরোপীয় মিত্ররা যুক্তরাষ্ট্রের এ পিছু হটায় হতাশা প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৯
এইচএডি/একে