স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। হামলার পরিকল্পনা কেন বাতিল করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, তা জানা যায়নি।
হোয়াইট হাউজের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইরানে হামলার বিষয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও কংগ্রেসের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সিদ্ধান্ত হয়, হামলা হবে। তখন মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির বেশকিছু লক্ষ্যবস্তুতে হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিমান ও রণতরী প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। তবে, হামলার পরিকল্পনা বাদ দেওয়ায় আর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে হয়নি তাদের।
সম্প্রতি, ওমান উপসাগরে তেলবাহী জাহাজে হামলার ঘটনায় ইরানের সঙ্গে বাগযুদ্ধে জড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মধ্যপ্রাচ্যের মিত্র দেশগুলো। ইরানকে অভিযুক্ত করে বিভিন্ন ‘তথ্য-প্রমাণ’ উপস্থাপন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও, সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তেহরান। এ উত্তেজনার মধ্যেই পেন্টাগন মধ্যপ্রাচ্যে আরও এক হাজার সৈন্য মোতায়েনের ঘোষণা দেওয়ার পর গোয়েন্দা ড্রোনটি ভূপাতিত করা হয়।
এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ‘ইরান বড় ভুল করেছে’ মন্তব্য করে টুইট করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যদিও ইরানের দাবি, তাদের ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করায় ‘আমেরিকান গুপ্তচর ড্রোনটি’ ভূপাতিত করা হয়।
ড্রোন ভূপাতিত করার প্রতিক্রিয়ায় ইরানের সামরিক বাহিনীর অভিজাত ও প্রভাবশালী শাখা রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পস (আইআরজিসি) কমান্ডার জেনারেল হোসেন সালামী বলেছিলেন, আমাদের সীমান্ত রেখা হচ্ছে লাল দাগ। এ দাগ অতিক্রম করার চেষ্টা করলে, তাদের মোকাবিলা করা হবে।
বারাক ওবামা ক্ষমতায় থাকাকালে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সীমিতকরণের প্রশ্নে তেহরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি সই করে পাওয়ার সিক্স (যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি)। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় বসার পর একতরফাভাবে এ চুক্তি থেকে বের হয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। যদিও ইউরোপীয় মিত্ররা যুক্তরাষ্ট্রের এ কাজে বিরক্তি প্রকাশ করেছে। এরপরও ওয়াশিংটন হমিকি দিয়েছে, পরমাণু কর্মসূচি থেকে পিছু না হটলে তেহরানকে মূল্য দিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০১ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৯
এইচএডি/একে