বৃহস্পতিবার (২০ জুন) রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত ওই শো’র বরাত দিয়ে শুক্রবার (২১ জুন) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ খবর জানায়।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, রাশিয়ার বন্দর নগরী নাখদকার অদূরে স্রেদনয়ায়া উপসাগরে ছোট প্যানের (বেষ্টিত স্থান) মধ্যে ১০০টিরও বেশি তিমি আটকে রাখা হয়।
তিমিগুলোকে আটকে রাখার বিষয়টি ‘তিমি জেল’ হিসেবে সংবাদ প্রচার হতে থাকে সংবাদমাধ্যমে। বিভিন্ন প্রকারের ছবি ও ভিডিও-ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে যায় বিশ্বব্যাপী।
পাশাপাশি বাণিজ্যিক কারণে তিমিগুলোকে আটকে রাখা হয়েছে দাবি করে এর কঠোর সমালোচনা শুরু করেন আন্তর্জাতিক প্রাণি অধিকার কর্মীরাও।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের নভেম্বরে এ নিয়ে তদন্তে নামেন রুশ প্রসিকিউটররা।
শেষ পর্যন্ত তিমিগুলোকে মুক্ত করে দেওয়ার খবর জানানোর সময় রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন শো’তে পুতিন বলেন, শিক্ষারী তিমিগুলোর এক একটি প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে বিক্রি করা যেতো। কিন্তু যে বিষয়ে এতো অর্থ জড়িত, সে বিষয়ের সমাধানে নানা জটিলতা থাকেই।
আটকে রাখা তিমিগুলোর মধ্যে মূলত অক্রাস (শিকারী তিমি নামেও পরিচিত) ও বেলুগা– এ দুই প্রজাতিই রয়েছে। এদের মধ্যে দু’টি অক্রাস ও ছয়টি বেলুগা তিমিকে ওখোটস্ক সাগরে ছাড়া হবে বলে জানায় রুশ সংবাদমাধ্যম।
আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে শিকারী তিমি ধরা বা আটকে রাখা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। শুধু শিক্ষাবিষয়ক কিংবা বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজে এগুলো ধরা বা আটকে রাখা যেতে পারে।
তিমিগুলোকে মুক্ত করে দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে রাশিয়ার তিমি আশ্রয়স্থল প্রকল্পের নির্বাহী পরিচালক চার্লস ভিনিক বলেন, তিমিগুলোকে সাগরে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে আমরা খুবই খুশি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৯
এসএ/এইচএ/