মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের দপ্তর পেন্টাগনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন বলে জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইরানের সাংস্কৃতিক গুরুত্ববহ স্থান ও স্থাপনায় হামলার হুমকি দিয়ে টুইটের পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে মার্ক এসপার বলেন, আমরা যুদ্ধের আইন মেনে চলবো।
এর আগে ৪ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প টুইট করেন, ‘….ইরানি ৫২টি স্থানকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে (বহু বছর আগে ইরানের ৫২ আমেরিকান জিম্মির প্রতীকি) এগুলোর কিছু ইরান ও ইরানি সংস্কৃতির জন্য উচ্চতর গুরুত্বপূর্ণ এবং এ লক্ষ্যবস্তু ও ইরানে দ্রুততর ও কঠোরতর আঘাত হানা হবে। যুক্তরাষ্ট্র আর কোনো হুমকি দেখতে চায় না!’
১৯৭৯ সালের বিপ্লবের সময় ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস অবরোধের ঘটনায় ৫২ মার্কিন নাগরিককে জিম্মির ঘটনাকে এখানে ইঙ্গিত করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক আইনে যুদ্ধে কোনো সাংস্কৃতিক স্থান ও স্থাপনায় হামলা যুদ্ধাপরাধ হিসেবে স্বীকৃত। ২০১৭ সালে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এ বিষয়ে এক প্রস্তাব পাস করা হয় যা ট্রাম্প প্রশাসনেরও স্বীকৃতি পেয়েছে।
২ জানুয়ারি দিনগত রাতে ইরাকের বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) বিশেষ কুদস ফোর্সের অধিনায়ক মেজর জেনারেল কাসেম সোলেমানির হত্যার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। কাসেম সোলেমানির হত্যায় ইরানের প্রতিশোধের হুমকিতে যুক্তরাষ্ট্র পরিস্থিতি মোকাবেলায় মধ্যপ্রাচ্যে তার ঘাঁটিগুলোতে অতিরিক্ত তিন হাজার সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২০
এবি