নয়াদিল্লী ভিত্তিক জেটসেটগো (JetSetGo) এর প্রতিষ্ঠাতা কনিকা তেকরিওয়াল জানান, বড় বড় ধনীরা করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাবে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল থেকে পালাতে চাওয়ায় আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে প্রাইভেট জেটের খোঁজ বেড়েছে নয় গুণ। বিপুল অংকের টাকা দিয়ে প্রাইভেট জেটে বুকিং দিতে চান পয়সাওলারা।
গেল সপ্তাহে কনিকা তেকরিওয়ালের একজন ক্লায়েন্ট ভারতীয় ধনকুবের তার পরিবারসহ লন্ডন থেকে নয়াদিল্লী আসতে একটি প্রাইভেট জেট ভাড়া করেন। লন্ডনে আটকে থাকা এই ধনকুবের লন্ডন ছাড়ার মাত্র আধ ঘণ্টা আগে সব ধরনের ফ্লাইট বাতিল করে নয়াদিল্লী।
ক্লায়েন্টের গোপনীয়তা রক্ষায় ভারতীয় ধনকুবেরের নাম প্রকাশ করেননি কনিকা তেকরিওয়াল।
করোনা ভাইরাসের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় ফ্লাইট বাতিলসহ কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এয়ারলাইন্সগুলো।
আধ ঘণ্টা পর পর নিয়ম পরিবর্তন হচ্ছে জানিয়ে কনিকা তেকরিওয়াল বলেন, কেউ জানে না কে কি পরিবর্তন করছে। হঠাৎ করে কিছু দেশ পাইলটদের অনুমতি দিচ্ছে না, কিছু দেশ এয়ারক্র্যাফ্টও প্রবেশ করতে দিচ্ছে না।
বিজনেস এভিয়েশন কোম্পানি ক্লাব ওয়ান এয়ার এর প্রধান রাজন মেহরা বলেন, প্রতিদিনই নতুন নতুন নির্দেশনা আসছে। আপাতত পর্যটন বন্ধ হয়ে গেছে। ভ্রমণ করছেন না কর্পোরেটরাও।
জেটসেটগো’র তেকরিওয়াল জানান, তার কোম্পানির ৮৭ শতাংশ পূর্বনির্ধারিত বুকিং বাতিল হয়েছে।
এছাড়া মেহরা’র কোম্পানিরও ৭০ শতাংশ ভ্রমণ বাতিল হয়েছে। তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা মারাত্মক ভাবে উদ্বিগ্ন। কিভাবে আমরা কর্মীদের বেতন পরিশোধ করবো।
তেকরিওয়াল বলেন, এটি ভয়াবহ ধাক্কা। কোম্পানি যদি ভাল না চলে তবে আমরা টাকা পাবো কোথায়। আমরা উচ্চ ব্যয়বহুল ইন্ডাস্ট্রি চালাচ্ছি। সুতরাং আমরা প্রথম ধাক্কা খাবো।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে সারা বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৭৯ হাজারের বেশি এবং মারা গেছেন কমপক্ষে ৭ হাজার ১৭৬ জন।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩০ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২০
এমইউএম/ইউবি