বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।
করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে ফল ও শাক-সবজি উৎপাদন ও সরবরাহের কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে কৃষক ও অভিবাসী কর্মীদের জন্য ভ্রমণ সংক্রান্ত নীতিমালা শিথিল করার কথাও ভাবছে ইউরোপ। মহাদেশটির সুপারমার্কেটগুলোতে এখনো তাজা খাবারের ঘাটতি নেই। তবে শাক-সবজির প্রধান যোগানদাতা আফ্রিকার দেশগুলোতে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ায় চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
ইউরোপের বাজারে মটর ও শিম আসে কেনিয়া থেকে। চাহিদা বাড়লেও সম্প্রতি অর্ডার সরবরাহ করতে সমস্যা দেখা দেওয়ায় এ সেক্টরের অর্ধেক কর্মীদের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। কেনিয়ার ফ্রেশ প্রোডিউস কনসোর্টিয়ামের প্রধান নির্বাহী অকিসেগেরে ওজেপাত বলেন, ‘ইউরোপের মজুদ প্রতিদিন কমছে। ’
এদিকে আরেক প্রধান সরবরাহকারী দেশ সাউথ আফ্রিকা ২১ দিনের জন্য লকডাউনের ঘোষণা দেওয়ায় ইউরোপে খাবারের যোগান ঠিক রাখা আরও কঠিন হয়ে উঠেছে।
যুক্তরাজ্যে ফল ও সবজি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ফ্রুটস আনলিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হান্স ম্যুলায়ের্ট গেলেইন বলেন, ‘এ সপ্তাহের শুরুতেও আমরা ভালো অবস্থায় ছিলাম কিন্তু এখন সবকিছু খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছে। ফ্লাইট বাতিলের পরিমাণ বাড়ছে। তাই বড়সড় ব্যাঘাত ঘটার আশঙ্কা করছি আমি। ’
এছাড়া, যেসব প্লেন চালু রয়েছে, তারা বেশি ভাড়া আদায় করছে। গত দুই সপ্তাহে খাদ্যদ্রব্যের দাম তিনগুণ বেড়েছে। সমুদ্রপথে যাতায়াতে বিধিনিষেধ ও ট্রাক ড্রাইভারের সংখ্যা কমে যাওয়ায় সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে। কনটেইনারের স্বল্পতা দেখা দেওয়ায় বেশি সময় ধরে তাজা থাকা সাইট্রাসজাতীয় ফলের সরবরাহ কমে যেতে পারে।
এ মুহূর্তে ইউরোপে ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ কমলা ও লেবু এবং গাজর, বাঁধাকপিসহ বিভিন্ন সবজির চাহিদা বেড়েছে, জানান ফ্রেশ প্রোডিউস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব কেনিয়ার প্রধান হোসিয়া মাচুকি।
এদিকে স্পেনসহ ইউরোপের দেশগুলোতে অভিবাসী কর্মীর স্বল্পতা দেখা দেওয়ায়ও উৎপাদনে বিঘ্ন ঘটছে। এতে সামনের দিনগুলোতে ইউরোপে খাদ্য সঙ্কট দেখা দিতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২০
এফএম