বুধবার (১ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানায়।
জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, করোনা মহামারির কারণে বিশ্বে এমন অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেবে, সম্ভবত সাম্প্রতিক অতীতের কোনো ঘটনাই যার সমতুল্য নয়।
এ মহামারির আর্থসামাজিক প্রভাব নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশকালে এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
বিশ্বজুড়ে নিশ্চিতভাবে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৮ লাখ ৬০ হাজার এবং তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৪২ হাজার জন।
যুক্তরাষ্ট্রে মারা গেছেন ৩ হাজার ৮শ’ জন, যা ভাইরাসটির উৎসস্থল চীনের মৃত্যুসংখ্যার চেয়ে বেশি।
জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য মতে, যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৮৮ হাজার। সংক্রমণ ঠেকাতে দেশটিতে প্রতি চারজন মানুষের মধ্যে তিনজন লকডাউন অবস্থায় রয়েছেন।
অন্যদিকে স্পেনে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৮৪৯ জন, যা একদিনে সর্বাধিক। ৩০ মার্চ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে মারা গেছেন ১ হাজার ৭৮৯ জন। তাদের মধ্যে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোর রয়েছে বলে জানায় লন্ডনের কিংস কলেজ হসপিটাল ট্রাস্ট।
নিউ ইয়র্ক সিটিতে জাতিসংঘের সদরদপ্তরে গুতেরেস বলেন, ‘সমাজের ঠিক কেন্দ্রে আঘাত হানছে নতুন করোনা ভাইরাস রোগ, কেড়ে নিচ্ছে মানুষের জীবন ও জীবিকা। ’
‘জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার পর সম্মিলিতভাবে আমাদের সবচেয়ে বড় পরীক্ষার মুখোমুখি করেছে কোভিড-১৯। ’ এ মহামারির ইতি টানতে এবং সংক্রমণ ঠেকাতে অবিলম্বে সমন্বিত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
দাবানলের মতো অতিদ্রুত ছড়িয়ে পড়া এ রোগ মোকাবিলায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে সাহায্যের জন্য শিল্পোন্নত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব।
জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ মহামারির ফলে বিশ্বজুড়ে প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ মানুষ চাকরি হারাতে পারেন। এছাড়া, বিদেশি বিনিয়োগ কমতে পারে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২০
এফএম