ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

করোনা: ফ্রান্সে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি, কম জার্মানিতে

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২০
করোনা: ফ্রান্সে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি, কম জার্মানিতে

ঢাকা: কভিড-১৯ বা নভেল করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিশ্ব মানবতা আজ বিপন্ন। দিনদিন যেমন বাড়ছে এ রোগে আক্রান্তের হার, তেমনি দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। এ পর্যন্ত ব্যাপকভাবে ধরাশায়ী হয়েছে বিশ্বের উন্নত দেশগুলো। তবে, বিভিন্ন মহাদেশে থাবা বসালেও আফ্রিকার দেশগুলোতে এই ভাইরাসের বিস্তার সেভাবে ঘটেনি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি ফ্রান্সে। দেশটিতে মৃত্যুর হার ১৫ দশমিক ৩২ শতাংশ।

ইতালিতে ১২ দশমিক ৯৭ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ১২ দশমিক ৯০ শতাংশ, স্পেনে মৃত্যুর হার ১০ দশমিক ১০ দশমিক ৪৭ শতাংশ। আর যুক্তরাষ্ট্রে ৪ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং জার্মানিতে ২ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা বেশি যুক্তরাষ্ট্রে। এরপর যথাক্রমে অবস্থান করছে স্পেন, ইতানি, জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য।

সংস্থাটির দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৭২৪ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ১৪০ জনের। অর্থাৎ এই মহামারিতে এখন পর্যন্ত মৃত্যুর হার ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

আমেরিকা:

এক ব্যক্তির মাঝে প্রথম করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয় ২০ জানুয়ারি। এরপর থেকে দেশটিতে প্রায় তিন মাসে আক্রান্ত হয়েছে ৬ লাখ ৪ হাজার ৭০ জন। প্রথমবারের মতো ৩ মার্চ মৃত্যু হয় দুইজনের। সেই থেকে দেড় মাসে মারা গেছে ২৫ হাজার ৮৭২ জন। দেশটিতে মৃত্যু হার ৪ দশমিক ২৮ শতাংশ। শুধুমাত্র ১৬ এপ্রিল মৃতের তালিকায় যোগ হয়েছে ২ হাজার ৩৯৫ জন। যা আগের দিনের চেয়ে ৮৯১ জন বেশি।

স্পেন:

৩১ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো ১ জন আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয় স্পেনে। এরপরের আড়াই মাসে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৪১ জন। প্রথম মৃত্যু হয় ৪ মার্চ। দেড় মাসে সেখানে মারা গেছে ১৮ হাজার ৬৫ জন। মৃত্যু হার ১০ দশমিক ৪৭ শতাংশ। দেশটিতে ১৬ এপ্রিল মৃত্যু হয়েছে ৫৬৭ জনের।

 ইতালি:

দেশটিতে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬২ হাজার ৪৮৮ জন। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ৬৯ জনের। গত ২৯ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো দুইজন আক্রান্ত হন দেশটিতে। প্রথম মৃত্যু হয় ২২ ফেব্রুয়ারি। সেখানে প্রায় দুই মাসে মারা গেছে প্রায় ২১ হাজারের বেশি মানুষ। মৃত্যুর হার ১২ দশমিক ৯৭ শতাংশ। ইতালিতেও মৃতের হার প্রায় আগের মতোই আছে। ১৬ এপ্রিল দেশটিতে ৬০৪ জনকে মৃতের তালিকায় যোগ করা হয়েছে।

 জার্মানি:

জার্মানিতে প্রথমবারের মতো চারজন আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয় ২৮ জানুয়ারি। এর পর থেকে আড়াই মাসে দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ৫৮৪ জন। প্রথম দুই জনের মৃত্যু হয় ৯ মার্চ। এরপর থেকে দেড় মাসে দেশটিতে মারা গেছে ৩ হাজার ২৫৪ জন। মৃত্যু হার ২ দশমিক ৫৫ শতাংশ। জার্মানিতে মৃতের সংখ্যা আগের থেকে বেড়েছে। সর্বশেষ দেশটিতে মৃতের তালিকায় যোগ হয়েছেন ২৮৫ জন, যার আগের দিনের চেয়ে ১১৫ জন বেশি।

ফ্রান্স:

ফ্রান্সে প্রথমবারের মতো ১ জন আক্রান্ত বলে শানাক্ত হন ২৪ জানুয়ারি। সেই থেকে আড়াই মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ২ হাজার ৫৩৩ জন। প্রথম একজনের মৃত্যু হয় ১৫ ফেব্রুয়ারি। সেই থেকে দুই মাসে মারা গেছেন ১৫ হাজার ৭০৮ জন। মৃত্যু হার ১৫ দশমিক ৩২ শতাংশ। দেশটিতের মৃতের রেখাচিত্র ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। দেশটিতে ১৬ এপ্রিল মৃত্যু হয়েছে ৭৬২ জনের।

যুক্তরাজ্য:

৩১ জানুয়ারি যুক্তরাজ্যে দুই জন প্রথমবারের মতো করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন। সেই থেকে আড়াই মাসে দেশটিতে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৯৩ হাজার ৮৭৭ জন। প্রথমবারের মতো ১ জন মারা যান ৬ মার্চ। তারপর থেকে দেড় মাসে ১২ হাজার ১০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এ পর্যন্ত। মৃত্যুর হার ১২ দশমিক ৯০ শতাংশ। দেশটিতে ১৬ এপ্রিল মৃত্যু হয়েছে ৭৭৮ জনের।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২০
ইইউডি/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।