কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগর বৈশ্বিক সম্পদের একটি অংশ, এর ওপর কোন একক দেশের অধিকার নেই বলে চীনকে কড়া জবাব দিয়েছে ভারত।
সম্প্রতি দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন রণতরীর অবস্থান নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনা প্রসঙ্গে এমন জবাব দিয়েছে ভারত।
ভারতের পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, দক্ষিণ চীন সাগর বৈশ্বিক সম্পদ। আমরা এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীল অবস্থা আশা করি।
তিনি আরো বলেন, আমরা সবসময় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আইন ও জাতিসংঘ প্রদত্ত নিয়ম অনুসারে এই আন্তর্জাতিক জলসীমায় ব্যবসা ও যাতায়াতের ক্ষেত্রে চলাচলের স্বাধীনতার পক্ষে রয়েছি।
সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, দক্ষিণ চীন সাগরের অধিকাংশ অঞ্চলজুড়ে চীনের দখল সম্পূর্ণ বেআইনি।
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল উন্মুক্ত রাখতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়ে পম্পেও বলেন, আমরা শান্তি ও স্থিতিশীল অবস্থা বজায় রাখতে চাই। যেখানে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে কোন বাধা আসবে না।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, দক্ষিণ চীন সাগরে অবৈধভাবে বেশকিছু অঞ্চল দখল করে রেখেছে চীন। সেই সঙ্গে তারা এই অঞ্চলে নিজেদের আগ্রাসন বাড়াতে অন্যান্য রাষ্ট্রকে ভয়-ভীতিও প্রদর্শন করছে, যা কোনভাবেই কাম্য নয়।
নিজেদের বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সহায়তার জন্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রণতরী এই অঞ্চলে থাকবে বলেও জানান মাইক পম্পেও।
শুক্রবার মার্কিন নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইউএসএস নিমিটজ ও ইউএসএস রোনাল্ড রিগ্যান ৪ থেকে ৬ জুলাইয়ের মধ্যে নৌপথে অপারেশন এবং সামরিক মহড়া শেষ করে দক্ষিণ চীন সাগরে ফিরে গেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নিমিটজ এবং রিগ্যান ক্যারিয়ার দক্ষিণ চীন সাগরে কাজ করছে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগী এবং সহযোগীদের প্রতি অঙ্গীকার জোরদারে এই জাহাজগুলো মোতায়েন করা হয়েছে।
সূত্র: জাস্টআর্থ নিউজ
বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২০
এমজেএফ