ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ইউক্রেনের ৬ অঞ্চলে ১২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০২২
ইউক্রেনের ৬ অঞ্চলে ১২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি

রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে দুই সপ্তাহ ধরে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের সেনারা। দেশটি ছেড়ে লাখ লাখ মানুষ পাশের দেশগুলোতে পালিয়ে যাচ্ছে।

এখনো তুমুল যুদ্ধ চলছে ইউক্রেনজুড়ে।  

হামলায় বিধ্বস্ত ইউক্রেনের ছয়টি অঞ্চলে অর্ধ-দিনের মতো যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেসচুক এ তথ্য জানিয়েছেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়।  

ছয়টি অঞ্চল হলো- রাজধানী কিয়েভের কিছু অংশ, খারকিভ, চেরনিহিভ, সুমি ও মারিওপোল। এসব শহর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য ‘মানবিক করিডর’ বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

ইউক্রেনের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেসচুক বলেন, যুদ্ধে সবচেয়ে বিপর্যস্ত অবস্থায় থাকা ছয়টি অঞ্চলের বেসামরিক মানুষদের পালানোর সুযোগ দিতে ১২ ঘণ্টার জন্য একটি যুদ্ধবিরতি করতে রাজি হয়েছে রাশিয়া।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ওই ছয়টি অঞ্চলের কয়েক লাখ লোক লড়াইয়ের কারণে খাদ্য, পানি, বিদ্যুৎ ও ওষুধের অভাবের মধ্যে আটকা পড়েছে।

উত্তরপূর্বের সুমি শহরের মেয়র বলেছেন, সেখান থেকে লোকজন ইতোমধ্যেই গাড়িতে করে বেরিয়ে যেতে শুরু করেছেন।  

প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরু হয় ২৪ ফেব্রুয়ারি। রাশিয়ার সেনাদের ঠেকাতে দুই সপ্তাহ ধরে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন। যুদ্ধে সেনাদের সঙ্গে অংশ নিয়েছেন ইউক্রেনের বেসামরিক মানুষও।  

রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে অংশ না নিলেও নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দেশটিকে ঘায়েল করতে চাইছে পশ্চিমারা। রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে পৃথিবীর বহু দেশে বিক্ষোভ চলছে। এমনকি রাশিয়ার নাগরিকরাও এতে অংশ নিচ্ছেন।  

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ইউক্রেনে হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স ও অন্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে হামলা বেড়েছে। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর ১৭ লাখেরও বেশি মানুষ দেশটি ছেড়ে পালিয়ে গেছে বলে সোমবার জাতিসংঘের সবশেষ তথ্যে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০২২
জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।