ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ডেপুটি স্পিকারের রায়ে ‘ভুল’ দেখছেন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০২২
ডেপুটি স্পিকারের রায়ে ‘ভুল’ দেখছেন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি (সিজেপি) উমর আতা বান্দিয়াল

পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি (সিজেপি) উমর আতা বান্দিয়াল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়া জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরির ৩ এপ্রিলের রায় ‘ভুল’ ছিল। বৃহস্পতিবার (০৭ এপ্রিল) দেশটির সর্বোচ্চ আদালতে শুনানি চলাকালে প্রধান বিচারপতি এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, এখন পাকিস্তান মুসলীম লীগের (পিএমএলএন) কৌঁসুলি এবং অ্যাটর্নি জেনারেল (এজিপি) খালিদ জাভেদ খান আদালতকে কীভাবে এগিয়ে যেতে হবে সে বিষয়ে গাইড করবেন।

উমর বলেন, আমাদের জাতীয় স্বার্থের দিকে নজর দিতে হবে। আদালত আজ রায় দেবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রায়ের প্রত্যাশায় সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা গেছে, সর্বোচ্চ আদালতের বাইরে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিন প্রধান বিচারপতি বান্দিয়ালের নেতৃত্বে বিচারপতি মুনিব আখতার, ইজাজুল আহসান, মাজহার আলম এবং মান্দোখেলের সমন্বয়ে গঠিত পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে চতুর্থ দিনের মতো শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের শুনানিতে রাষ্ট্রপতি ড. আরিফ আলভির পক্ষে আইনজীবী আলী জাফর প্রতিনিধিত্ব করেন এবং যুক্তি উপস্থাপন করেন। তার যুক্তি উপস্থাপন শেষ হলে প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতির আইনজীবী জাফরকে প্রশ্ন করেন, সবকিছু সংবিধান অনুযায়ী চললে সাংবিধানিক সংকট কোথায়?

উত্তরে আলী জাফর বলেন, আমিও তাই বলছি, দেশে কোনো সাংবিধানিক সংকট নেই। এক পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি জানতে চান, দেশে সাংবিধানিক কোনো সংকট আছে কি-না তা তিনি কেন ব্যাখ্যা করছেন না।

শুনানি চলাকালে বিচারপতি মাজহার রাষ্ট্রপতির আইনজীবীর কাছে জানতে চান প্রধানমন্ত্রী জনগণের প্রতিনিধি ছিল কি-না। পরে জাফর সম্মতিসূচক উত্তর দেন।

এর আগে গত ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা বিরোধী দলগুলোর অনাস্থা প্রস্তাব ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়ে খারিজ করে দেন জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার। এরপরই প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট। আর পুরো প্রক্রিয়াটিকে ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়েছেন বিরোধীরা।

সূত্র: দ্য ডন

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, ০৭ এপ্রিল, ২০২২
এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।