আফ্রিকার বাইরে মাঙ্কিপক্সে প্রথম মৃত্যুর ঘোষণা দিয়েছে ব্রাজিল ও স্পেন। শনিবার ( ৩০ জুলাই) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
স্পেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে মাঙ্কিপক্সে ৩ হাজার ৭৫০ জন শনাক্ত হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১২০ জন। মাঙ্কিপক্সে মৃত্যু হয়েছে একজনের।
ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মাঙ্কিপক্সে মারা যাওয়া ব্যক্তির বয়স ৪১। তিনি লিম্ফোমায় আক্রান্ত ছিলেন। তার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বেশ দুর্বল ছিল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদরোস আধানম গেব্রেয়াসুস বলেছেন, এ পর্যন্ত ৭৮টি দেশে ১৮ হাজার মানুষের শরীরে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭০ শতাংশেরও বেশি শনাক্ত হয়েছে ইউরোপীয় অঞ্চলে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্ত হয়েছে ২৫ শতাংশ।
জ্বর, গায়ে ব্যথা, বড় আকারের বসন্ত মাঙ্কিপক্সের সাধারণ বৈশিষ্ট হলেও এ রোগের কারণে মুখ বা যৌনাঙ্গে ক্ষত সৃষ্টি হয়। ডব্লিউএইচও ধারণা করছে, এ রোগে প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজনের মারাত্মকভাবে সংক্রমিত হয়। পুরুষের সঙ্গে পুরুষের যৌনসম্পর্কের মধ্য দিয়ে এ রোগ বেশি ছড়াচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে সমকামী পুরুষদের সতর্ক হতে বলা হয়েছে। রোগ প্রতিরোধে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ ও ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাঙ্কিপক্সের একটি রূপ এতই ভয়ংকর, আক্রান্ত ব্যক্তিদের ১০ শতাংশ মারা যেতে পারেন। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হলে চিকিৎসার কোনো উপায় নেই। তবে, অন্যান্য ভাইরাস মোকাবিলার মতো উপযুক্ত পদক্ষেপ নিলে এর প্রকোপ কমানো যায়। যদিও এ ভাইরাসে আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে যান।
সূত্র: আল জাজিরা
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২২
ইআর