ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ইউক্রেন যুদ্ধ ক্রিমিয়াকে মুক্ত করার মাধ্যমেই শেষ হবে: জেলেনস্কি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১২ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২২
ইউক্রেন যুদ্ধ ক্রিমিয়াকে মুক্ত করার মাধ্যমেই শেষ হবে: জেলেনস্কি

ইউক্রেনের যুদ্ধ ক্রিমিয়া দিয়ে শুরু হয়েছে, একে মুক্ত করার মাধ্যমেই শেষ হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রাশিয়া অধিকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপে একটি সামরিক ঘাঁটির কাছে বিস্ফোরণে একজন নিহত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর রাত্রিকালীন ভাষণে এ মন্তব্য করেন তিনি।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) বিকেলে ক্রিমিয়া উপত্যকার পশ্চিম উপকূলে নভোফেদোরিভকার কাছে স্যাকি বিমান ঘাঁটিতে ওই বিস্ফোরণ ঘটে। খবর বিবিসি

এ সময় তিনি বিষ্ফোরণের উল্লেখ না করে বলেন, ‘ক্রিমিয়া ইউক্রেনের এবং আমরা কখনোই হাল ছাড়ব না। ’

এদিকে রাশিয়া মঙ্গলবারের বিস্ফোরণের তথ্য নিশ্চিত করেছে। কিন্তু ইউক্রেনের শীর্ষ এক কর্মকর্তা হামলার দায় নিতে রাজি হননি।

ক্রিমিয়ায় নিযুক্ত রাশিয়ান স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, বিস্ফোরণে একজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত এবং আটজন আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ২০ মিনিটের দিকে বিস্ফোরণ শুরু হয় এবং কমপক্ষে ১২টি বিস্ফোরণের শব্দ তারা শুনেছেন। একটি ভিডিওতে দেখা গেছে সেখানে কালো ধোঁয়া উড়ছে, আর পর্যটকরা সাগর সৈকত ছেড়ে পালাচ্ছে। রাশিয়ান পর্যটকদের কাছে সমুদ্রের তীরবর্তী জনপ্রিয় রিসোর্টগুলোর কাছে ওই সামরিক ঘাটির অবস্থান।

পরে ওই এলাকায় পৌঁছানোর পর আকসনভ বলেন, বিস্ফোরনস্থলের আশেপাশের তিন মাইল এলাকা নিয়ে একটি সংরক্ষিত জোন ঘোষণা করা হয়েছে।

আর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলো পদোলিয়াক বলছেন, এই বিস্ফোরণের জন্য কিয়েভ দায়ী নয়।

এর আগে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী সামাজিক মাধ্যমে ব্যঙ্গাত্মক একটি পোস্ট দিয়েছিল। যেখানে যুদ্ধজাহাজ মস্কভা ও আরও কিছু সামরিক হামলা রাশিয়াকে অগ্নি নিরাপত্তা ও বিরোধপূর্ণ এলাকায় ধোঁয়ার বিষয়ে মনে করিয়ে দিয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট লেনস্কি তার মঙ্গলবারের রাতের ভিডিও ভাষণ ক্রাইমিয়াকে উৎসর্গ করেছেন, কিন্তু সরাসরি বিস্ফোরণের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

ভিডিও ভাষণে তিনি বলেন, ‘ক্রাইমিয়া ইউক্রেনের এবং আমরা কখনোই এটি ছেড়ে দেব না। ক্রিমিয়ার যুদ্ধ এটিকে মুক্ত করার মাধ্যমেই শেষ হতে পারে এবং তার বিশ্বাস যে যুদ্ধ শেষ হওয়ার আগেই তারা ক্রাইমিয়া উপত্যকা পুনর্দখল করতে পারব।

২০১৪ সালে এক গণভোটের মাধ্যমে রাশিয়া ক্রাইমিয়াকে সংযুক্ত করে নেয়। তবে পশ্চিমা বিশ্বের কাছে এটি বৈধতা পায়নি। মূলত ক্রাইমিয়ার কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার পর ওই গণভোট অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১২ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।