পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরের কাছে মুলতান-সুক্কুর মোটরওয়ে নামে পরিচিত একটি সড়কে বাস ও তেলের ট্যাংকারে সংঘর্ষের ঘটনায় ২০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৬ জন।
মোটরওয়ে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুটি যানই দ্রুত গতিতে ছুটছিল। এতে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
তারা বলছেন, মুলতান-সুক্কুর মোটরওয়েতে দ্রুতগতির স্লিপার বাসটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে তেলের ট্যাংকারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই অনেকের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনার পর এম-ফাইভ নামে পরিচিত মোটরওয়েতে কয়েক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।
মোটরওয়ে পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছেন, সংঘর্ষের পরপরই তেলের ট্যাংকার ও বাসটিতে আগুন ধরে যায়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মোটরওয়ে পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে যান। স্থানীয় পুলিশ ও উদ্ধার দলও ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।
পুলিশের ওই মুখপাত্র জানান, তেলে ট্যাংকারে সংঘর্ষের ঘটনায় আগুন ধরে যায়। আগুন এতটাই তীব্র ও ভয়ঙ্কর ছিল, দূর থেকে দেখা যাচ্ছিল। বেশিরভাগ যাত্রীকে জ্বলন্ত বাস থেকে জীবিত উদ্ধারের পর তাৎক্ষণিক নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্তত নয় যাত্রীকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।
আগুন নেভাতে উদ্ধারকারী দলের কয়েক ঘণ্টা সময় লাগে। পাক পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) খালিদ মাহমুদের নির্দেশে মোটরওয়ে পুলিশ একটি জরুরি ক্রাইসিস সেন্টার স্থাপন করেছে। উদ্ধার অভিযানের সময় ডিআইজি শহীদ জাওয়াদও ঘটনাস্থলে ছিলেন।
সোমবার (১৫ আগস্ট) রাত নয়টার দিকে স্লিপার কোচটি লাহোর থেকে করাচীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। বাস কোম্পানির দাবি, ঘটনার সময় বাহনটিতে দুজন চালক ছিলেন। শুক্কুরে বাসের সমস্ত কর্মী পরিবর্তন করা হয়েছিল। যাত্রী ছিলেন ২৪ জন। তাদের মধ্যে দুজন হায়দ্রাবাদ ও বাকি ২২ জন করাচী যাচ্ছিলেন।
মুলতানের নিশতার হাসপাতালের মেডিকেল সুপারিন্টেনডেন্ট ডা. আমজাদ চান্দিও ডনকে জানিয়েছেন, আহত ছয়জনের মধ্যে ৪ জনকে প্রাথমিকভাবে বার্ন ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয়েছে এবং হাসপাতালের মর্গে ২০টি মৃতদেহ রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময় : ১৬৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২২
এমজে