মঙ্গল বিজয়ের পর এবার সেখানে বাড়ি বানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। ব্রিটেনের ব্রিস্টলে আবার প্রদর্শিত হচ্ছে সেই বাড়ির প্রতিকৃতি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ শিল্পী এল্লা গুড ও নিকি কেন্ট গত সাত বছরের চেষ্টায় স্থপতি ও বিজ্ঞানীদের নিয়ে তৈরি করেছেন একটি দল। এ দলের সদস্যরা অ্যান্টার্কটিকার মতো জায়গায় বসবাসের অবকাঠামো নির্মাণে প্রসিদ্ধ। তারাই এবার মঙ্গল বাড়ি নির্মাণ করবেন।
পৃথিবী থেকে বহু দূরের লাল গ্রহটিতে স্বাভাবিকভাবে নিশ্বাস নেওয়ার মতো অবস্থা নেই। তাই নির্মিতব্য বাড়িটি করা হচ্ছে সম্পূর্ণ বায়ুরোধী করে। তবে ঘরের ভেতর থাকবে পর্যাপ্ত অক্সিজেন। রাখা হয়েছে সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি ও কসমিক রেডিয়েশন না ঢোকার ব্যবস্থা।
৫৭০ বর্গফুটের দোতলা বাড়িটির বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সোলার প্যানেলের মাধ্যমে করা হয়েছে। থাকছে দুটি বিশাল শোবার ঘর। নির্মাতাদের দাবি, মঙ্গলের প্রতিকূল পরিবেশে বসবাসের জন্য বাড়িটিতে পাওয়া যাবে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা। তা ছাড়া গ্রহ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে বাড়িটি থেকে।
এল্লা গুড ও নিকি কেন্টের স্থপতি ও বিজ্ঞানী দলের একজন হিউ ব্রাউটন। পেশায় স্থপতি হিউ জানান, মঙ্গলের বাড়িটি নির্মিত হচ্ছে কংক্রিট দিয়ে। পানি ও মঙ্গলের মাটি দিয়ে বানানো হয়েছে এ কংক্রিট। ভয়ংকর সূর্যরশ্মি থেকে বাড়ির বাসিন্দারা যাতে রক্ষা পান সে ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। মাইনাস ৬৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা সহ্য করতে পারবে বাড়িটি।
লাল গ্রহের মাটিতে গাছ নেই। এ ছাড়া অক্সিজেন প্রতিকূলতায় গাছ জন্মানোর মতো অবস্থাও নেই। তাই ওই ঘরের ভেতরেই গাছ লাগানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মঙ্গল গ্রহে নির্মিত কাঠামোর ভূগর্ভস্থ স্তরে পরিবেশগত নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থাকবে। এসব কক্ষে শক্তি প্রদানকারী লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম বসানো হয়েছে। থাকবে একটি ঝর্নাও। নাসার লুনার বিজয়ীদের দ্বারা ডিজাইন করা একটি শৌচালয় রাখা হয়েছে। তবে, এতে পানি থাকবে কম। শৌচালয়ে নাম রাখা হয়েছে ‘মার্টিয়ান লু’।
চলতি মাসের শেষের দিকে মঙ্গলের বাড়িটি খুলে দেওয়া হবে। সাধারণ মানুষরা থাকতে চাইলে সে বাড়িতে যেতে পারেন। অক্টোবর পর্যন্ত যে কেউ বাড়িটিতে প্রবেশ করতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময় : ১৫১২ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২২
এমজে