যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশি আচরণ নিয়ে বির্তক থামছে না। একটি ঘটনার শেষ না হতেই আরেকটি ঘটছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির পুলিশের মারধরের এ ঘটনার ভিডিও সহ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, তিন পুলিশ সদস্য এক ব্যক্তিকে রাস্তায় ফেলে মারছেন। ভুক্তভোগীর পেটে, পিঠে লাথি দিচ্ছেন একজন, অপরজন চড়-থাপ্পড় দিচ্ছেন। তৃতীয়জন ভুক্তভোগীর মাথা ফুটপাতের সঙ্গে বাড়ি দিচ্ছেন।
অভিযুক্ত তিনজন হলেন- পুলিশের ডেপুটি জ্যাক কিং, ক্রফোর্ড কাউন্টি শেরিফ অফিসের ডেপুটি লেভি হোয়াইট, মালবেরি পুলিশ কর্মকর্তা থেল রিডল। ভুক্তভোগীর নাম রান্ডাল ওরচেস্টারকে (২৭)। তিনি সাউথ ক্যারোলিনার গুজ ক্রিকের বাসিন্দা।
স্টেট পুলিশ ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, রোববার (২১ আগস্ট) সকালে ভুক্তভোগীর বিরুদ্ধে স্থানীয় একটি দোকানে হামলার অভিযোগ আনা হয়েছিল। ওই তিন পুলিশ সদস্য ঘটনার তদন্তে গিয়েছিলেন। ঘটনাস্থলে পুলিশি আচরণ প্রদর্শন না করে নৃশংসতা দেখানোয় সোমবার (২২ আগস্ট) তাদের বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্ত হলেও তারা বেতন পাবেন।
রান্ডাল ওরচেস্টারের ব্যাপারে পুলিশ জানিয়েছে, সদস্যরা যখন তার মুখোমুখি হয়, তিনি এক ডেপুটিকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন। পুলিশ সদস্যের মাথার পেছনেও ঘুষি দেন রান্ডাল। তাকে গ্রেফতারের সময়কার ভিডিওতে এ দৃশ্য স্পষ্ট।
মারধরে আহত রান্ডাল ওরচেস্টারকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ত্রাসবাদী হুমকি, গ্রেপ্তারে প্রতিরোধ, অপরাধমূলক অনুপ্রবেশ ও হামলার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার দেখিয়েছে আরকানসাস পুলিশ।
ঘটনার দিন সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে মালবেরি পুলিশ প্রধান শ্যানন গ্রেগরি বলেন, মালবেরি শহর ও এখানকার পুলিশ বিভাগ এ ধরনের তদন্ত খুব গুরুত্ব সহকারে করে থাকে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
আরকানসাসের গভর্নর আসা হাচিনসন এদিন রাতে এক টুইট বার্তায় বলেন, ভিডিও প্রমাণ ও প্রসিকিউটিং অ্যাটর্নির অনুরোধের ভিত্তিতে ক্রফোর্ড কাউন্টির ঘটনাটি তদন্ত করা হবে।
ক্রফোর্ড কাউন্টি শেরিফ জিমি দামন্তে বলেছেন, ঘটনাটি আরকানসাস স্টেট পুলিশ ও এফবিআই তদন্ত করছে। তার কার্যালয় থেকে এ ব্যাপারে যথাযথ সহায়তা করা হচ্ছে। তিনি নিজ কর্মকর্তাদের আচরণের নিন্দা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময় : ১৫৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০২২
এমজে