জাতীয় তহবিল ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বারহাদ’র প্রায় শতকোটি ডলার অর্থ কেলেঙ্কারি মামলায় ১২ বছরের সাজা ঘোষণা হয়েছে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের। মঙ্গলবার (২৩) আগস্ট এ রায় ঘোষণা করেন মালয়েশিয়ার সুপ্রিম কোর্ট।
কাতারের সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি তেংকু মাইমুন তুয়ান মাত সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ১২ বছর কারাদণ্ডের রায় দেন।
অর্থ কেলেঙ্কারির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় শেষ আপিলে নাজিবের শাস্তি পেছানোর অনুরোধও খারিজ করে দেন বিচারক।
২০২০ সালের জুলাই মাসে ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বারহাদের একটি সাবেক ইউনিট এসআরসি ইন্টারন্যাশনাল থেকে অনৈতিকভাবে ১ কোটি ডলার আত্মসাৎ করে। এর পেছনে ছিলেন নাজিব রাজাক। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী হয়ে নিম্ন আদালতে ক্ষমতার অপব্যবহার ও আত্মসাৎকৃত অর্থ পাচারে মানি লন্ডারিংয়ের দায়ে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন নাজিব। এসব মামলায় তাকে ১২ বছর কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২১ কোটি রিঙ্গিত জরিমানা করা হয়।
রায়ের ব্যাপারে বিচারপতি তেংকু মাইমুন তুয়ান মাত গণমাধ্যমে বলেন, আপিলে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে আমরা নিরাপদ সাজা দেওয়ার চেষ্টা করি। নাজিবের মামলাগুলোর জন্য আমাদের সতর্ক দৃষ্টি ছিল। বিচারের সময় প্রাপ্ত সাতটি অভিযোগের প্রমাণ সুস্পষ্ট। এসব কিছুই নাজিবকে অপ্রতিরোধ্যভাবে দোষী হিসেবে প্রমাণ করেছে। আমাদের পাঁচ বিচারকের প্যানেলের সর্বসম্মতিক্রমে মামলা রায় ঘোষণা করেছে।
কিন্তু নাজিব বলছেন উল্টো কথা। তার ভাষ্য, বিচারবিভাগ সম্পূর্ণভাবে তার বিরুদ্ধে কাজ করেছে। যা খুবই অন্যায়।
মামলায় রায় কার্যকরে মঙ্গলবারই নাজিবকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হবে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনিই প্রথম কারাগারে যাচ্ছেন।
আদালতের রায়ের আগে ২০১৮ সাল থেকে জামিনে ছিলেন সাবেক মালয়েশিয় প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বারহাদ থেকে প্রায় সাড়ে ৪০০ কোটি ডলার চুরি হয়। তদন্তকারীরা এসব অর্থের প্রায় ১০০ কোটি ডলার নাজিবের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে খুঁজে পান। আদালতে এ সংক্রান্ত মামলার সব ট্রায়ালে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন নাজিব রাজাক।
বাংলাদেশ সময় : ১০৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০২২
এমজে