ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ইসলাম

কোরআনে কারিমের যে আয়াতে আছে সব আরবি বর্ণমালা

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৬
কোরআনে কারিমের যে আয়াতে আছে সব আরবি বর্ণমালা

বিখ্যাত ইসলামি বিদ্যাপীঠ মিসরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মুহাম্মদ ওয়াহদান পবিত্র কোরআনে কারিমের এমন একটি আয়াত বের করেছেন, যে আয়াতে আরবি বর্ণমালার সবগুলোই রয়েছে।

মিসরের ওই আলেম ও ইসলামি মুবাল্লিগ মুহাম্মদ ওয়াহদান একটি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআনে কারিমের এমন বিস্ময়কর ও রহস্য সম্পর্কে জানান।

তিনি বলেন, কোরআনের ৪৮ নম্বর সূরা, সূরা ফাতহের ২৯ নম্বর আয়তে আরবি ভাষার ২৯টি বর্ণমালাই উল্লেখিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে তিনি সূরা ফাতহের ২৯ নম্বর আয়াতটি তেলাওয়াত করে শোনান। আয়াতটি হলো-

مُّحَمَّدٌ رَّسُولُ اللَّهِ وَالَّذِينَ مَعَهُ أَشِدَّاء عَلَى الْكُفَّارِ رُحَمَاء بَيْنَهُمْ تَرَاهُمْ رُكَّعًا سُجَّدًا يَبْتَغُونَ فَضْلًا مِّنَ اللَّهِ وَرِضْوَانًا سِيمَاهُمْ فِي وُجُوهِهِم مِّنْ أَثَرِ السُّجُودِ ذَلِكَ مَثَلُهُمْ فِي التَّوْرَاةِ وَمَثَلُهُمْ فِي الْإِنجِيلِ كَزَرْعٍ أَخْرَجَ شَطْأَهُ فَآزَرَهُ فَاسْتَغْلَظَ فَاسْتَوَى عَلَى سُوقِهِ يُعْجِبُ الزُّرَّاعَ لِيَغِيظَ بِهِمُ الْكُفَّارَ وَعَدَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ مِنْهُم مَّغْفِرَةً وَأَجْرًا عَظِيمًا

অর্থ : মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসূল এবং তার সহচরগণ (সাহাবি) কাফেরদের প্রতি কঠোর, নিজেদের মধ্যে পরস্পর সহানুভূতিশীল। আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় আপনি তাদেরকে রুকু ও সেজদারত দেখবেন। তাদের মুখমণ্ডলে রয়েছে সেজদার চিহ্ন। তাওরাতে তাদের অবস্থা এরূপ এবং ইঞ্জিলে তাদের অবস্থা যেমন একটি চারা গাছ যা থেকে নির্গত হয় কিশলয়, অতঃপর তা শক্ত ও মজবুত হয় এবং কাণ্ডের উপর দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে। চাষীকে আনন্দে অভিভূত করে। যাতে আল্লাহ তাদের দ্বারা কাফেরদের মনের জ্বালা সৃষ্টি করেন। তাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা ও মহাপুরস্কারের ওয়াদা দিয়েছেন।

মুহাম্মদ ওয়াহদান বিষয়টি সামনে আনার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার বক্তব্যের সত্যতা প্রমাণ পাওয়া গেছে। দেখা গেছে, বাস্তবিক অর্থেই এই আয়াতে আরবি সব বর্ণ রয়েছে।

মুহাম্মদ ওয়াহদান মিসরের টেলিভিশন চ্যানেল আল আসিমার মিনহাজুল হায়াত নামক অনুষ্ঠানে আরও বলেন, পবিত্র কোরআনে কারিমের অনেক বিস্ময় ও রহস্য লুকিয়ে রয়েছে। এগুলোর সামান্যই মানুষ বুঝতে সক্ষম। কোরআনের বিস্ময় ও রহস্য কখনোই শেষ হবে না, কিয়ামত পর্যন্ত এটা অব্যাহত থাকবে।

ওই অনুষ্ঠানে তিনি সূরা ইউসুফের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি আরও বলেন, এ সূরায় ১১১টি আয়াত থাকা সত্ত্বেও ‘الجنة’ (বেহেশত) ও ‘النار’ (জাহান্নাম) শব্দ উল্লেখ নেই।

তিনি বলেন, সূরা বাকারায় হাজারটি কর্মের নিষেধ ও হাজারটি কর্মের আদেশ এবং হাজারটি সংবাদ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পবিত্র কোরআনে এমন (সূরা ইখলাস) সূরা রয়েছে, যা তিন বার পাঠ করলে পুরো কোরআন খতমের সওয়াব পাওয়া যায়।

অনুষ্ঠানের শেষ প্রান্তে তিনি সবাইকে কোরআন তেলাওয়াত ও গবেষণার আহবান জানিয়ে বলেন, কোরআনেই রয়েছে মানুষের সফলতার চাবিকাঠি। মানুষের উচিৎ তা অন্বেষণ করা।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৬
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।