মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় ইবাদত রমজান মাসের রোজা পালন। রমজানকে সামনে রেখে রাঙামাটির মসজিদগুলোকে নতুনভাবে ঢেলে সাজনো হচ্ছে।
মসজিদের প্রয়োজনী সংস্কার, চুনকাম করা, তারাবির নামাজ পড়ানোর জন্য হাফেজ নিয়োগ থেকে শুরু করে বিকল্প বিদ্যুৎ ব্যবস্থা- সবই দ্রুততার সঙ্গে শেষ করছে মসজিদ পরিচালনায় থাকা সংশ্লিষ্টরা।
রাঙামাটির প্রাচীন ও বড় মসজিদগুলোর মধ্যে জেলার মূল শহরে অবস্থিত কাঠালতলী জামে মসজিদটি। দ্বিতল এই মসজিদে একসঙ্গে প্রায় ১ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন।
রমজানের প্রস্তুতি বিষয়ে কথা হয় মসজিদ পরিচালনা কমিটির কোষাধ্যক্ষ মো. সামাউন শাওন’র সঙ্গে। তিনি বলেন, জেলার পুরোনো এবং বড় মসজিদগুলোর মধ্যে এই মসজিদটি অন্যতম।
আসন্ন রমজানে মুসল্লিরা যাতে শান্তিতে তারাবির নামাজ আদায় করতে পারেস- সে জন্য মসজিদ সংস্কার এবং চুনকামের কাজ শেষ হয়েছে। মুসল্লিদের অতিরিক্ত গরমে যেন কষ্ট না হয়- সে জন্য এবার এয়ারকন্ডিশন স্থাপন করা হয়েছে। বিদ্যুতের বিকল্প হিসেবে জেনারেটরও প্রস্তুত।
রাঙামাটির এই মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিন দুই জনই কোরআনের হাফেজ। বেশ কয়েক বছর ধরে তারাই তারাবির নামাজের ইমামতি করছেন। কথা হয় মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ সেকান্দর হোসাইন রেজবির (৪৫) সঙ্গে।
তিনি বলেন, আমি এখানে ইমামতি করছি ছয় বছর ধরে। পাশাপাশি রমজান মাসে তারাবির নামাজও পড়াই। এর আগে মাওলানা মুহাম্মদ সেকান্দর হোসাইন খাগড়াছড়ির মহালছড়ি মসজিদে ইমামতি করতেন।
ইমাম সাহেব আরও জানান, তারাবির নামাজে প্রথম রোজা থেকে ছয় রোজা পর্যন্ত দেড়পারা করে কোরআন তেলাওয়াত করা হবে, এর পর প্রতিদিন ১ পারা করে কোরআন তেলাওয়াত করা হবে। কোরআন খতম হবে শবে কদরে।
মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ মোহাম্মদ তৈয়ব আলী (২৫) মুয়াজ্জিনে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি পবিত্র রমজানে তারাবির নামাজ পড়ান। তিনি ৩ বছর ধরে এ দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এর আগে তিনি চট্টগ্রামের কামালে ইসকে মোস্তফা জামে মসজিদে চাকরি করতেন।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, নামাজ আল্লাহতায়ালার হুকুম। এটা বিশেষ ইবাদাত। নামাজ পড়াতে পারলে হৃদয়ে শান্তি পাওয়া যায়।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ২০১৯ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৭
এমএইউ/