ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

আমাদের শরীর থেকে ঘাম বের হয় কেন?

ইমরুল ইউসুফ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১২
আমাদের শরীর থেকে ঘাম বের হয় কেন?

ঘাম মানুষের শরীরের একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। বিভিন্ন কাজ করলে আমরা ঘামি।

ছোটাছুটি, হাঁটাহাঁটি করলে আমরা ঘেমে যাই বেশি। শরীর দিয়ে টপ টপ করে ঝরে জল। কেন এমনটা হয়?

আমাদের পুরো শরীরটাই পাতলা চামড়া দিয়ে ঢাকা। এই চামড়াকে বলা হয় ত্বক। ত্বকের মূল কাজ বাইরের তাপের সঙ্গে শরীরের তাপ ঠিক রাখা। আমাদের শরীরের সাধারণ তাপমাত্রা ৯৮.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট। এই তাপমাত্রা ঠিক রাখে ঘামগ্রন্থি।

আমাদের শরীরের মধ্যে যেসব কোষ আছে, তাদের মধ্যে কোনো কোনো কোষ রস বা হরমোন ছড়ায়। এই হরমোন ছড়ানো কোষগুলোকে বলে গ্রন্থি। তেমনি ঘাম ঝরায় ঘামগ্রন্থি।

আবার এই ঘামগ্রন্থিকে নিয়ন্ত্রণ করে মগজ বা মস্তিষ্ক। মগজই ঘামগ্রন্থিকে বলে দেয়, কতটুকু ঘাম ঝরাতে হবে। কতটুকু ঘাম ঝরালে শরীরের তাপমাত্রা ৯৮.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট থাকবে অথবা এই তাপমাত্রার কাছাকাছি থাকবে। দেহের তাপমাত্রা ঠিক রাখতেই শরীর থেকে সাধারণত ঘাম ঝরে।

এখন জানা যাক ঘাম শরীর থেকে কীভাবে বের হয়। জন্মের সময় আমাদের শরীরে সাধারণত ২০ থেকে ৪০ লাখ ঘামগ্রন্থি থাকে। মেয়েদের শরীরে এই ঘামগ্রন্থির সংখ্যা আবার একটু বেশি থাকে। কিন্তু ছেলেদের ঘামগ্রন্থিগুলো সক্রিয় থাকে বেশি।

ঘামে পানি ছাড়াও খনিজ লবণ, ল্যাক্টেট আর ইউরিয়ার কারণে স্বাদ হয় লোনা।

তবে একজন মানুষ কতটুকু ঘামবে তা নির্ভর করে মূলত তার শরীরের ঘামগ্রন্থির উপর। তবে খুব কম বা বেশি ঘামা এক প্রকার রোগ।

আমাদের চামড়ার লাখ লাখ ছিদ্রপথ দিয়ে এই ঘাম শরীরের বাইরে বের হয়ে আসে। তখন বাতাসের ছোঁয়ায় কমতে থাকে শরীরের তাপ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১২
এসএ/[email protected]

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।