ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

ধর্ষণ মামলায় জামিন পেলেন সাবেক ইউএনও মনজুর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২৩
ধর্ষণ মামলায় জামিন পেলেন সাবেক ইউএনও মনজুর

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় জামিন পেয়েছেন বাসাইলের সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনজুর হোসেন।  

সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইলের জেলা দায়রা ও জজ আদালতের বিচারক শেখ আব্দুল আহাদ শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন।

এরআগে বাসাইলের সাবেক ওই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিনে ছিলেন।  

আজ উচ্চ আদালতের দেওয়া জামিনের শেষ দিন হওয়ায় তিনি নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন।

সাবেক ইউএনও মনজুন হোসেন রাজবাড়ীর পাংশা থানার চরঝিকড়ী গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ওএসডি হিসেবে সংযুক্ত আছেন। তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন জেলার মির্জাপুর উপজেলার এক কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী।

টাঙ্গাইলের সরকারি কৌঁসুলী (পিপি) এস আকবর আলী খান বলেন, ইউএনও মনজুর হোসেন উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। আজ তিনি আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। পরে উভয়পক্ষের বিস্তারিত শুনানি শেষে বিচারক সাবেক ইউএনওর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন।  

এর আগে গত ৬ মার্চ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন সাবেক ইউএনও। উচ্চ আদালতের জামিনের মেয়াদ থাকায় বিচারক আজ সোমবার শুনানির ধার্য্য করেছিলেন।  

মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালে বাসাইলে ইউএনও হিসেবে কর্মরত থাকার সময় ফেসবুকে মির্জাপুরের এক কলেজছাত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয় মনজুর হোসেনের। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে বিয়ের কথা বলে মনজুর হোসেন বিভিন্ন সময় ওই কলেজছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন। তাকে নিয়ে ভারতে বেড়াতে যান। টাঙ্গাইল শহরে বাসা ভাড়া করে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে একত্রে কয়েক মাস বসবাসও করেন। পরে ওই কলেজছাত্রী বিয়ের জন্য চাপ দিলে মনজুর হোসেন তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এ ঘটনায় ২০২২ সালের ২১ জুন আদালতে মামলা করেন ওই কলেজছাত্রী। মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।

মামলাটি তদন্ত করে ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর পিবিআই আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়। তদন্তে আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি আইনের ৪৯৩ ধারার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন বিচারক।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২৩
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।