ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

সম্রাটকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি, পাসপোর্ট ফেরত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৯ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২৩
সম্রাটকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি, পাসপোর্ট ফেরত

ঢাকা: ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। বিদেশ যেতে আগামী দুই মাসের জন্য পাসপোর্ট তার জিম্মায় দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন বিচারক।

বৃহস্পতিবার (০১ জুন) ঢাকার বিশেষ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম এই আদেশ দেন।

এ দিন সম্রাটের মামলায় চার্জ শুনানির দিন ধার্য ছিল। তার পক্ষে আইনজীবী চার্জ শুনানির জন্য সময় আবেদন করেন। সেই আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ৬ জুলাই চার্জ শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত। একইদিনে সম্রাটকে স্থায়ী জামিনের আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী ধার্য তারিখ পর্যন্ত আদালত তার জামিন বর্ধিত করে আদেশ দেন।

এছাড়া সম্রাটকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি এবং সেজন্য আদালতে জমা পাসপোর্ট তার জিম্মায় দেওয়ার আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী দুই মাসের জন্য পাসপোর্ট সম্রাটের জিম্মায় দেওয়া এবং এক মাসের জন্য বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দেন আদালত।

সম্রাটের অপর আইনজীবী আফরোজা শাহনাজ পারভীন হিরা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

২০২২ সালের ১১ মে সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন একই আদালত। ওই দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিসাধীন অবস্থায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর গত ১৮ মে সম্রাটের জামিন বাতিল করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। আদেশে সম্রাটকে সাতদিনের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। উচ্চ আদালতের আদেশ অনুযায়ী সম্রাট ওই বছর ২৪ মে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। আদালত জামিন শুনানি না করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর গত ২২ আগস্ট এই মামলায় দ্বিতীয় দফায় জামিন পান তিনি।

২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম এ দিন দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সম্রাট বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। অভিযোগ আছে তিনি মতিঝিল ও ফকিরাপুল এলাকায় ১৭টি ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং সেগুলোতে লোক বসিয়ে মোটা অঙ্কের কমিশন নিতেন। অনেক সময় ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনো ব্যবসা পরিচালনা করতেন। তিনি অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়ে ঢাকার গুলশান, ধানমন্ডি ও উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট কিনেছেন ও বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এ ছাড়া তার সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্রে নামে-বেনামে এক হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে।

মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।

ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপর তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৮ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২৩
কেআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।