ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

দেশে ফিরেছেন সম্রাট: হাইকোর্টে প্রতিবেদন

স্পেশাল করেসপনেডন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০২৩
দেশে ফিরেছেন সম্রাট: হাইকোর্টে প্রতিবেদন

ঢাকা: আদালতের অনুমতি নিয়ে সাবেক যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট চিকিৎসা শেষে ভারত থেকে ফিরেছেন বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।

এ তথ্য জানানোর পর বিদেশ যাওয়ার জন্য বিচারিক আদালতের দেওয়া অনুমতি বাতিল চেয়ে দুদকের আবেদন বুধবার (২ আগস্ট) সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। সম্রাটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী।

সম্রাটের আইনজীবীর হলফনামায় বলা হয়, আদালত থেকে পাসপোর্ট ফেরত পাওয়ার পর তিনি ১৫ জুলাই স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ভারতের কলকাতায় যান। এরপর ২৪ জুলাই ফিরে এসে আদালতে পাসপোর্ট জমা দেন।

এ তথ্য জানানোর পর দুদকের আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেন বেঞ্চ।

আদেশের বিষয়ে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, দুদকের আবেদন আদালত খারিজ করে দিয়েছেন। আর বলেছেন- অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের মামলার বিচার দ্রুত শেষ করতে।

এর আগে ১ জুন এ মামলায় ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাটকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬- এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম। একইসঙ্গে আদালত সম্রাটের পাসপোর্ট তার জিম্মায় দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন।

এ আদেশ বাতিল চেয়ে সম্প্রতি উচ্চ আদালতে আবেদন করেছিল দুদক। আবেদনের পর ১৬ জুলাই সম্রাটের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, তিনি চিকিৎসার জন্য ১৫ জুলাই ভারতের কলকাতায় গেছেন। আর ২৫ জুলাই তার দেশে ফেরার কথা।

এরপর হাইকোর্ট আবেদনের ওপর শুনানি ১ আগস্ট পর্যন্ত মুলতবি রাখেন।

এ মামলায় গত বছরের ২২ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬- এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান শুনানি শেষে সম্রাটকে জামিন দেন।

জামিনের ক্ষেত্রে সম্রাটকে কয়েকটি শর্ত দেওয়া হয়। শর্তগুলো হচ্ছে- তার পাসপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে; আদালতের অনুমতি না নিয়ে তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না। জামিনে কারামুক্ত হয়ে গত বছরের ২৬ আগস্ট দুপুরে হাসপাতাল ছাড়েন ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট।

২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের নামে মামলা করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সম্রাট বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।  

মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।  

ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০২৩
ইএস/এমএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।