ঢাকা, বুধবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

বোট ক্লাবে পরীমণির মদপানের পর মারধরের সত্যতা পেয়েছে পিবিআই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২৪
বোট ক্লাবে পরীমণির মদপানের পর মারধরের সত্যতা পেয়েছে পিবিআই

ঢাকা: সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে দুই বোতল মদপানের পর আরও দুই বোতল মদ নিয়ে চলে যান চিত্রনায়িকা পরীমণি। যার দামও পরিশোধ করেননি।

মোট চার বোতল মদের ৮৭ হাজার ৬৫০ টাকা না দিয়েই চলে যান পরীমণি ও তার সহযোগীরা। এছাড়া টাকা চাইলে সেখানে ভাঙচুর করেন। মারধর করেন ক্লাবের পরিচালক নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ কয়েকজনকে।  

নাসিরের করা মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সম্প্রতি পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন এ প্রতিবেদন দাখিল করেন।  

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এ প্রতিবেদনের গ্রহণযোগ্যতা বিষয়ে শুনানির কথা রয়েছে।  

২০২২ সালের ৭ জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আদালতে এ মামলা করেন নাসির। মামলায় পরীমণি ছাড়াও তার দুই সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমিকে আসামি করা হয়।  

মামলার আরজিতে বলা হয়, পরীমণি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহল সেবী। সুযোগ বুঝে তারা বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমণি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির ভয় দেখান।  

এতে আরও বলা হয়, ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে দ্বিতীয় তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন। বাদী ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত সোয়া ১টার দিকে যখন ক্লাব থেকে বের হচ্ছিলেন তখন পরীমণি উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাদী নাসির উদ্দিনকে ডাক দেন এবং তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসার অনুরোধ করেন। এক পর্যায়ে পরীমণি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসির উদ্দিনকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য বাদীকে চাপ দেন। বাদী এতে রাজি না হওয়ায় পরীমণি বাদীকে গালমন্দ করেন। বাদী ও আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে পরীমণি বাদীর দিকে একটি গ্লাস ও হাতে থাকা মোবাইল ফোন ছুড়ে মারেন। এতে নাসির উদ্দিন মাথায় ও বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন।  

আরজিতে বলা হয়, পরীমণি ও তার সহযোগীরা নাসির উদ্দিনকে মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন এবং ভাঙচুর করেছেন। এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমণি সাভার থানায় বাদীসহ দুজনের নামে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২৪
কেআই/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।