ঢাকা: শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের হাতে গ্রেপ্তার শহীদ মিয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সোমবার (২০ মে) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
গত ১৮ মে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন অপর একটি আদালত। সেই রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করে পুলিশ। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ১৭ মে সকাল ৮টা ৪১ মিনিটে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে আসা যাত্রী মোহাম্মদ শহীদ মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় তিনি ১০০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণালংকার থাকার কথা স্বীকার করেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তার কাছে ৩০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়। তার কাছে আর কোনো সোনা থাকার কথা অস্বীকার করায় তাকে তল্লাশি করেন গোয়েন্দারা।
শহীদ মিয়ার পরনে অত্যধিক পরিমাণ জামাকাপড়ের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। জামাকাপড়ের ওজন অস্বাভাবিক হওয়ায় সেগুলো খুলে স্ক্যানিং মেশিনে স্ক্যান করা হয়। এ সময় জামাকাপড়ের মধ্যে বিশেষভাবে লুকায়িত স্বর্ণের ইমেজের অস্তিত্ব পাওয়া গেলে তাকে কাস্টমস হলে নিয়ে যাওয়া হয়।
সোনার পরিমাণ নির্ণয়ের লক্ষ্যে শহীদ মিয়ার শরীরে পরিহিত ১৬টি কাপড় দায়িত্বরত বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে বিমানবন্দরের ক্যানোপি-১ এ নিয়ে পোড়ানো হয়। এরপর অপরিশোধিত চার হাজার ৪৬২ গ্রাম সোনা পাওয়া যায়। এছাড়া তার কাছে ৩০ গ্রাম অলংকার পায় শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ।
এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২৪
কেআই/এমজেএফ