ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ জুন ২০২৪, ২০ জিলহজ ১৪৪৫

আইন ও আদালত

বিচারককে মারধরের ঘটনায় কারাগারে ১

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৭ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২৪
বিচারককে মারধরের ঘটনায় কারাগারে ১

ঢাকা: ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এক বিচারককে মারধরের ঘটনায় হাতিরঝিল থানায় করা মামলায় একজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রোববার (২৩ জুন) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কারাগারে যাওয়া আসামির নাম মো. আলী।

এদিন তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে পুলিশ। আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ২৭ জুন দিন ধার্য করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ১৪ জুন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-১৮ আদালতের অফিস সহায়ক (ওমেদার) হুমায়ুন কবির হাতিরঝিল থানায় বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৭ জুন আমার স্যার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শান্ত ইসলাম মল্লিকের সঙ্গে প্রাইভেটকারযোগে হাতিরঝিল হয়ে টাঙ্গাইল যাওয়ার পথে হাতিরঝিল মধুবাগ ব্রিজের ওপরে একজন মোটরসাইকেল আরোহী হঠাৎ গাড়িতে ধাক্কা দেন। আমি ও আমার স্যার গাড়ি থেকে নেমে অজ্ঞাতনামা মোটরসাইকেল আরোহীকে থামাই। তাকে ধাক্কা দেওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি আমাদের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু করেন।

তিনি তর্কাতর্কি শুরু করলে আমি ও আমার স্যার সেখান থেকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করি। তখন অজ্ঞাতনামা মোটরসাইকেল আরোহী আমাদের গতিরোধ করেন। এমন সময় ঢাকা মেট্রো-গ-১৬-২৩৩২ নামীয় প্রাইভেটকারচালক আসামি মো. আলী (৫৩) তার গাড়ি আমাদের গাড়ির পেছনে থামান। গাড়িতে বসে থেকে তিনিও মোটরসাইকেল আরোহীর সঙ্গে যোগ দিয়ে আমার ও আমার স্যারের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু করেন।

আমার স্যার তখন তার পরিচয় দিলে আসামিরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে কোনো কারণ ছাড়াই আমার স্যারকে ধাক্কা দেন। আমি তাকে ধাক্কা দেওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করলে আসামি আলী (৫৩) ও অজ্ঞাতনামা আসামি মোটরসাইকেলচালক আমার স্যারকে চর থাপ্পড় মারতে শুরু করেন। এছাড়া আমার স্যারকে হত্যার উদ্দেশ্যে স্যারের গলা চেপে ধরে রাখেন এবং মেরে ফেলতে চেষ্টা করেন।

আমি বাধা দিলে অজ্ঞাতনামা আসামি (মোটরসাইকেল আরোহী) আমাকেও কিল ঘুষি মেরে আমার মাথা, ঘাড় ও পিঠে জখম করেন। মোটরসাইকেলের অজ্ঞাতনামা চালক আমাদের গাড়ির লুকিং গ্লাস ভেঙে ফেলেন এবং বিভিন্ন হুমকি দেন। আমরা সেখান থেকে কোনো রকম পালিয়ে আসি। আসার সময় আমরা আসামি মো. আলীর (৫৩) গাড়ির ও মোটরসাইকেলের ছবি তুলতে সক্ষম হই। গাড়ির নাম্বার থেকে আসামি মো. আলীর (৫৩) পরিচয় বের করতে সক্ষম হই।

অজ্ঞাতনামা আসামি মোটরসাইকেলচালকের নাম ও ঠিকানা বের করতে পারিনি। তবে আমার তোলা ছবির মাধ্যমে মোটরসাইকেলের নম্বর শনাক্ত করতে সক্ষম হই।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২৪
কেআই/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।