ঢাকা, মঙ্গলবার, ২ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

যেসব হত্যার বিচার আগে হবে, জানালেন চিফ প্রসিকিউটর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪
যেসব হত্যার বিচার আগে হবে, জানালেন চিফ প্রসিকিউটর

ঢাকা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি ‘সেনসিটিভ’, ঢাকা শহরে সবচেয়ে বড় বড় হত্যাকাণ্ড যেগুলো হয়েছে, সেগুলোর তদন্ত দ্রুত সম্পন্ন করে বিচারের জন্য আগে আনা হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ব্রিফিংয়ে  সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন তথ্য জানিয়েছেন তিনি।

তাজুল ইসলাম বলেন, ট্রাইব্যুনাল এই মুহূর্তে ফাংশনিংয়ে নেই। আমরা সরকারের কাছে আহ্বান করেছি। খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন হওয়া প্রয়োজন। ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিয়োগ না হলে এই যে, যারা আসামি আছে, তাদের গ্রেপ্তার আদেশ যদি চাই, তাদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের কোর্টের আদেশ ছাড়া কঠিন।

সরকারের কাছে আমরা অনুরোধ করছি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে ট্রাইব্যুনালটা পুনর্গঠন হোক। ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন হলে কাজগুলো খুব দ্রুততর গতিতে এগোবে। আমাদের প্রস্তুতিগুলো এগোবে। সে চেষ্টা অব্যাহত আছে, মন্তব্য করেছেন চিফ প্রসিকিউটর।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে নিরপেক্ষ বিচারক লাগবে। আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য বিচারক লাগবে। হাইকোর্ট ডিভিশনে বিচারক আছেন, যারা বিগত সরকারের আমলে নিয়োজিত হয়েছেন। স্বাভাবকিভাবে তাদের যদি ট্রাইব্যুনালে আনা হয়, তাহলে নানা দিক থেকে প্রশ্ন উঠতে পারে। আমরা চাই, এমন সব বিচারক নিয়ে আসা হোক, যাদের ব্যাপারে কোনো প্রশ্ন নেই। সেকারণে সরকার নানান দিক বিবেচনা করছে। এ জন্য সময় লাগছে।

কোন বিচারগুলো আগে হবে এমন প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, আমরা চাচ্ছি যেগুলো সবচাইতে বেশি সেনসেটিভ, সেগুলো আগে করতে। ঢাকা শহরে সবচেয়ে বড় বড় হত্যাকাণ্ড যেগুলো হয়েছে, যেমন উত্তরা, যাত্রাবাড়ী, বাড্ডা, মিরপুর ও আশুলিয়াতে হয়েছে, যেগুলো নির্মম হত্যাকাণ্ড এবং জাজ্বল্যমান সেগুলো আলাদা আলাদা করে তদন্ত করে দ্রুত এগুলো বিচারের জন্য আগে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হবে। ঢাকার বাইরে রংপুরের আবু সাঈদ। সেটাও প্রায়োরিটি বেসিসে চেষ্টা করা হবে।

তিনি আরও বলেন, তদন্ত সংস্থার কাছে বা প্রসিকিউশনের কাছে যেগুলো আসছে, সেগুলো সরাসরি মামলা না। সেগুলো অভিযোগ আকারে আসছে। এগুলো যাচাই-বাছাই করে আমরা যখন ট্রাইব্যুনালের কাছে পিটিশন আকারে উপস্থাপন করব, তখন আন্তর্জজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনের অধীনে মামলা হবে। সে মামলা হওয়ার আগ পর্যন্ত অভিযোগে কারো নাম আসলে তিনি আসামি হয়ে যাচ্ছেন না। ম্যাজিস্ট্রট কোর্ট বা থানার ব্যাপার আলাদা। আমরা যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করব। এখানে ভুল-ভ্রান্তি হওয়ার সম্ভাবনা নাই।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪
ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।