ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

নিক্সন চৌধুরীসহ চারজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২৪
নিক্সন চৌধুরীসহ চারজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ঢাকা: সাবেক সংসদ সদস্য মির্জা আজম, সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী ও তার স্ত্রী তারিন হোসেন এবং আওয়ামী লীগ নেতা ডা. এইচ বি এম ইকবালের ছেলে প্রিমিয়ার প্রোপার্টি ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান মঈন ইকবালের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক আবেদনের প্রেক্ষিতে বুধবার (২৩ অক্টোবর) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইব্রাহিম মিয়া এ আদেশ দেন।

দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন ও সৈয়দ আতাউল কবির তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন।

মির্জা আজমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়, অভিযোগ রয়েছে মির্জা আজম ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে-বেনামে দেশে-বিদেশে শত শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। ইতোমধ্যে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।

দুদকের আবেদনে আরও বলা হয়, বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, মির্জা আজম ও তার পরিবারের সদস্যরা দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধানের স্বার্থে মির্জা আজমের বিদেশ যাওয়া রোধ করা প্রয়োজন।

আরেক আবেদনে বলা হয়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মজিবুর রহমান চৌধুরীর (নিক্সন চৌধুরী) ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে তিন সদস্য বিশিষ্ট অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। অনুসন্ধানকালে ইতোমধ্যে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।  

দুদকের আবেদনে আরও বলা হয়, বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, নিক্সন চৌধুরী ও তার স্ত্রী তারিন হোসেন সপরিবারে গোপনে দেশত্যাগ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তারা দেশত্যাগ করে বিদেশে পালিয়ে গেলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডপত্র প্রাপ্তিতে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে। এ ছাড়াও সার্বিক অনুসন্ধানকাজে বিঘ্ন সৃষ্টিসহ সমূহ ক্ষতির কারণ রয়েছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধান কার্যক্রমের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক।

অপরদিকে মঈন ইকবালের আবেদনে বলা হয়, মঈন ইকবালসহ অন্যান্যরা ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগসাজশে ২৬০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনুসন্ধানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তিনি দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তার বিদেশ যাওয়া রোধে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২৪
কেআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।