সিলেট: ২৯ দিন কারাবাসের পর জামিন পেলেন সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুহিবুর রহমান মানিক।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে সুনামগঞ্জ দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক নির্জন মিত্র তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
এদিন শুনানিতে অসুস্থতা ও বয়স বিবেচনায় আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
গত ৭ অক্টোবর রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে র্যাবের একটি দল মহিবুর রহমান মানিককে গ্রেপ্তার করে। পরদিন ঢাকা থেকে তাকে সুনামগঞ্জ সদর থানায় নেওয়া হয়।
৯ অক্টোবর তাকে সুনামগঞ্জ আদালতে হাজির করা হলে কারাগারে পাঠান জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলমগীর। কারাগারে স্থানান্তরের পর পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে ২০ অক্টোবর শুনানি শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
আইনজীবী অ্যাড. নজরুল ইসলাম ও অ্যাড. খায়রুল কবির রুমেন জানান, পাঁচ বারের সাবেক এমপি মানিক চোখে দেখতে পান না। অন্যান্য রোগ সুখে ভোগছেন। পরে বয়স বিবেচনায় আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ৪ আগস্ট সুনামগঞ্জ পৌর শহরের পুরাতন বাসস্টেশন এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও পুলিশ তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে অধিকাংশ শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনায় আহত এক শিক্ষার্থীর ভাই গত ২ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গত ৮ অক্টোবর রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত এক শিক্ষার্থী জহুর আলীর বড় ভাই হাফিজ আলী বাদী হয়ে ৯৯ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ জনকে আসামি করে সুনামগঞ্জ দ্রুত বিচার আদালতে মামলা করেন।
আদালতের বিচারক নির্জন মিত্র মামলাটি আমলে নেন। এ মামলার ৩ নং আসামি সুনামগঞ্জ ৫ আসনের সাবেক সংসদ ও সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মুহিবুর রহমান মানিক। একই মামলায় ২ নং আসামি সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ও সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি এম এ মান্নান কারাভোগের পর জামিনে রয়েছেন।
ওই মামলায় ১ নং আসামি সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও অপসারিত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল হুদা, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাবেক দুই এমপি রণজিত চন্দ্র সরকার ও মোয়াজ্জেম হোসেন, সুনামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র নাদের বখত, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট খায়রুল হুদা, জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, দিরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রদীপ রায়, তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আফতাব উদ্দিন, সুনামগঞ্জের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস এবং সদর মডেল থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদ চৌধুরী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সোয়েব চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক জুবের আহমদ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দীপঙ্কর কান্তি দে, সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০২৪
এনইউ/এমজেএফ