ঢাকা, বুধবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

নুর হোসেন চত্বরে নাশকতা: ছাত্রলীগ-যুবলীগের ৪২ নেতাকর্মী কারাগারে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২৪
নুর হোসেন চত্বরে নাশকতা: ছাত্রলীগ-যুবলীগের ৪২ নেতাকর্মী কারাগারে নূর হোসেন চত্বর

ঢাকা: রাজধানীর গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টের নূর হোসেন চত্বর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার যুবলীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ৪২ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (১১ নভেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্যাহ তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন—মাহবুব হাসান, অহিদুল ইসলাম, ইব্রাহিম মজুমদার, মহিউদ্দিন হোসেন বাবু, জাহাঙ্গীর আলম, শাহ মো. দোজাহান, জাকির হোসেন, জিয়া উদ্দিন, শহিদুল ইমলাম, ফারুক হোসেন, রফিকুল ইসলাম সাগর হাওলাদার, মোশারফ হোসেন, আনসার হাওলাদার, কামরুল হাসান, রেহানা বেগম, লাকি বেগম, ওয়াসিম, মাছুম, আবু ইউসূফ, আলাউদ্দিন, আলী আহম্মেদ, এম এ মারুফ, রুবেল, কবির হোসেন, উম্মে হাবিবা, মোহনা আক্তার, মোসা. মুন, গীতা রানি বিশ্বাস, মোসা. পারভীন সুলতানা, ইসমাইল হোসেন রাজ, রাফসান, আবদুস সালাম আকন, রাশেদুল সিদ্দিক, মোসা. কহিনুর, পুষ্প, নুর উদ্দিন আফসার, রাজু আহম্মেদ ওরফে মিরান, সেলিমুজ্জামান রাজা, কুদ্দুস মকদুম, শাহজাহান মৃধা, ইদ্রিস আহম্মেদ ও জনি হাসান।

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাসেল মিয়া। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে নূর হোসেন চত্বর এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগে সোমবার (১০ নভেম্বর) মামলাটি করেন পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সদস্যরা ও তাদের অর্থদাতা, পরামর্শদাতা ও নির্দেশদাতারা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য কয়েকদিন ধরে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নির্দেশনা সম্বলিত অডিও এবং ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল করে জিরো পয়েন্ট ও আশপাশ এলাকায় অবস্থান নিয়ে নাশকতা ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় সচিবালয়ের বিপরীত পাশে পাকা রাস্তার ওপর এই আসামিরা অজ্ঞাতপরিচয় ৩০০/৪০০ জন সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনের কতিপয় সদস্য এবং তাদের অর্থদাতা, পরামর্শদাতা ও নির্দেশদাতারা সরকার ও রাষ্ট্রের জননিরাপত্তা বিঘ্ন ও ক্ষতিসাধনের ষড়যন্ত্র এবং ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করার উদ্দেশ্যে সমবেত হন।

এ সময় ছাত্রলীগের ব্যানারে ছাত্রলীগের সঙ্গে এ আসামিরা দেশবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। সেখান থেকে ৪২ জনকে আটক করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২৪
কেআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।