জয়পুরহাট: জয়পুরহাটে আবদুল মতিন (৩০) হত্যা মামলায় সাতজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি আটজনকেই ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (১৭ আগস্ট) দুপুর আড়াইটায় জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো: আব্দুর রহিম এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন-জয়পুরহাট সদর উপজেলার ধারকী গ্রামের ওয়াজেদ আলী তোরাফ (৪৫), একই গ্রামের মন্টু (৩০), মছির উদ্দীন (৪৮), মোবারক আলী মোল্লার দুই ছেলে চৈতুন মোল্লা (৪৩) ও ছাফাদুল মোল্লা (৩৮) এবং ওয়াজেদ আলী তোরাফের দুই ছেলে আনু (২০) ও আবু হাসান দিলিপ (২৫)।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত মাহবুব আলম বাবু (২৫) একই গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ধারকী গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে ওই আটজনের বিরোধ ছিল। ২০০৬ সালের ২৭ অক্টোবর সকালে দেলোয়ার হোসেনকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে মেয়ের আকিকা অনুষ্ঠানের দাওয়াত দিতে পাশের চৌধুরীপাড়ায় যাচ্ছিলেন আব্দুল মতিন। পথে বড়াইল প্রামাণিক পাড়ায় এলে প্রতিপক্ষের লোকজন দেলোয়ারকে উদ্দেশ্য করে কোদাল দিয়ে মাথায় আঘাত করতে উদ্যত হলে তিনি মাথা সরিয়ে নেন। এসময় আঘাতটি আব্দুল মতিনের মাথায় লাগলে তিনি গুরুতর আহত হন। এ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে জয়পুরহাট আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় আব্দুল মতিনের বড় ভাই শাহ আলম বাদী হয়ে ওই দিনই জয়পুরহাট সদর থানায় নয়জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। বিচার কাজ চলার সময় মন্তাজ (৫১) নামে এক আসামি মারা যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৬/আপডেট: ১৭৩৩
এসআই